আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বেলজিয়ামে মঙ্গলবার এক বন্দুক হামলায় দুই নারী পুলিশ কর্মকর্তা ও এক পথচারীকে হত্যা করেছে। হামলাকারী কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেড়ে নিয়ে এ হামলা চালায়। একে একটি সন্ত্রাসী হামলা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে যোগাযোগ থাকায় হামলাকারী পুলিশের নজরদারীতে ছিল। সরকারি কৌঁসুলিরা বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পূর্বাঞ্চলীয় শিল্প নগরী লিগেতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারী ছুরি দিয়ে ওই দুই নারী কর্মকর্তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে এরপর তাদেরই আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করে। কেন্দ্রীয় আরো আইনজীবীরা বলেন, তারা এই ঘটনার সঙ্গে জঙ্গি সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত শুরু করেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র। ২০১৬ সালে ব্রাসেলসে জোড়া আত্মঘাতী বোমাসহ বেশ কয়েকটি জঙ্গি হামলার পর বেলজিয়াম সর্বোচ্চ নিরাপত্তা অবস্থায় রয়েছেন। ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ওই হামলার দায়িত্ব স্বীকার করে। প্রসিকিউটর ফিলিপ দুলিউ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ছুরি নিয়ে হামলাকারী ওই কর্মকর্তা দুজনকে অনুসরণ করে এবং সুযোগ মতো হামলা করে। এরপর তাদের আগ্নেয়াস্ত্র কেড়ে নিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করে।’ ফিলিপ আরো বলেন, ‘ওই পুলিশ কর্মকর্তাদের হত্যা করার পর হামলাকারী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ির আরোহীকে গুলি করে হত্যা করে। এতে যাত্রীর আসনে বসা ২২ বছর বয়সী তরুণ নিহত হয়।’তিনি বলেন, ‘এরপরও হামলাকারী তার তা-ব অব্যহত রাখেন। তিনি লিওনি ডি ওয়াহা স্কুলে ঢুকে সেখানে কর্মরত এক নারীকে জিম্মি করেন। পুলিশ এলে তিনি পুলিশ কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়েন। এতে কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। পুলিশের পাল্টা গুলিতে হামলাকারী নিহত হয়েছেন।’ হামলাকারীর নাম বেঞ্জামিন হারমান। তিনি ১৯৮২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। এর আগেও তিনি ডাকাতি, সহিংসতা ও মাদক পাচারের দায়ে অভিযোগ হন। সোমবার রাতে একই শহরে আরেকটি হত্যার দায়ে হারমান পলাতক ছিলেন। সোমবার তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান।