আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফের তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। সংসদ নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে একে পার্টি ও এমএইচপির সমন্বয়ে গঠিত পিপলস জোট।বেসরকারি ফলাফলে এরদোগান প্রায় ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররম ইনজে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট। বিশ্ব নেতৃবৃন্দের অনেকে নির্বাচনে জয়ের জন্য প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। খবর বিবিসি, সিএনএন।তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে এরদোগান বলেন, এ বিজয় গণতন্ত্রের বিজয়, এ বিজয় আট কোটি তুর্কি নাগরিকের বিজয়।এবারের নির্বাচনে ৮৭.৫ শতাংশ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফল অনুসারে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৯৯.২ শতাংশ ভোট গণনায় শাসক জোট সমর্থিত প্রার্থী রিসেপ তাইয়েব এরদোগান ৫৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী সিএইচপি প্রার্থী মুহাররম ইনজে পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট।অন্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের মধ্যে গুড পার্টির মেরেল আকসেনার পেয়েছেন ৭.৩ শতাংশ,এইচডিপির সালাদিন ডেমিরেটাস পেয়েছেন ৮.৪ শতাংশ এবং সাদাত পার্টির টেমেল কারামোলাগ্লু পেয়েছেন ০.৯ শতাংশ ভোট।সংসদ নির্বাচনে ৯৯.২ শতাংশ ভোট গণনায় শাসক পিপলস জোটের একে পার্টি পেয়েছে ৪২.৫ শতাংশ (আসন ২৯৩), এমএইচপি পেয়েছে ১১.১ (আসন ৫০) শতাংশ। অন্য দিকে বিরোধী ন্যাশন জোটের সিএইচপি পেয়েছে ২২.৭ শতাংশ (আসন ১৪৬), গুড পার্টি পেয়েছে ১০ শতাংশ (আসন ৪৪) এবং সাদাত পার্টি পেয়েছে ১.৪ শতাংশ ভোট। জোট বহির্ভূত কুর্দি দল এইচডিপি পেয়েছে ১১.৬ শতাংশ ভোট (আসন ৬৭)।পাওয়া ফলাফল অনুসারে শাসক জোট পিপলস এলায়েন্স ভোট পেয়েছে ৫৩.৬ শতাংশ ( আসন ৩৩৭) আর বিরোধী ন্যাশন এলায়েন্স ভোট পেয়েছে ৩৪ শতাংশ (আসন ১৯০)। জোট বহির্ভূত দলগুলো ভোট পেয়েছে ১২.৪ শতাংশ (আসন ৬৭)।তুরস্কের নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী কোন দল ১০ শতাংশ ভোট না পেলে সংসদে কোন আসন পায় না। তবে সেটা জোটভুক্ত দলগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয়। কেননা জোট যদি ১০ শতাংশের বেশী ভোট পায় তবে জোটভুক্ত সকল দলই ১০ শতাংশের উপরে পেয়েছে বলে গণ্য হবে।পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার জন্য মোট আসন ৬০০ টি আসনের মধ্যে ৩০১ টি আসন দরকার হয়। এই সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে বেশি আসন পেয়েছে সরকারি জোট।তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুসারে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে এরদোগান ৫০ শতাংশের কম ভোট পেলে দ্বিতীয় রাউন্ডের নির্বাচনে যেতে হতো আগামী ৮ জুলাই। এখন আর সেই নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না।সব মিলে এবারের নির্বাচনে প্রত্যাশিত ফলাফল মনে করা হয়েছিল প্রেসিডেন্ট এরদোগানের যদি প্রথম রাউন্ডে জয় পাওয়া এবং সরকারী জোটের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করা। এটি অর্জন করার ফলে প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসাবে তুরস্কের এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন এরদোগান।উল্লেখ্য, আগামী বছর নভেম্বরে তুরস্কের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা ছিল। তার জোট সঙ্গী এমএইচপি নেতা বাসেলির পরামর্শে এই নির্বাচনকে এরদোগান ২৪ জুনে এগিয়ে নিয়ে আসেন। |