স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জ (মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া)-১ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা খান রিতার নির্বাচনী প্রচারে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে কমপক্ষে আটজন আহত হন। তারা উপজেলার বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।
মঙ্গলবার বিকাল চারটায় সাটুরিয়া উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হামলা করেছেন বলে জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে দেয়া লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
আহত নেতাকর্মীরা হলেন, সাটুরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মহসিনুজ্জামান, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক ফরিদ হোসেন, ছাত্রদল কর্মী কাউছার হোসেন, সাজ্জাদ হোসেন, রনি, সিদ্দিুকুর রহমান, ইব্রাহিম খলিল ও সাদ্দাম হোসেন।
দলীয় এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আফরোজা খান রিতা সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাউন্নারা এলাকায় কালু শাহর মাজার জেয়ারত শেষে সাটুরিয়া বাজার, বালিয়াটি বাজার এবং দরগ্রাম বাজারে সর্বসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় কর্মসূচি ছিল। পূর্ব নির্ধারিত এসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকাল চারটার দিকে চার-পাঁচটি জিপ ও হাইয়েচ গাড়ি নিয়ে আফরোজা খান নেতাকর্মীদের নিয়ে কালু শাহর মাজার প্রাঙ্গণে পৌঁছান। এ সময় সেখানে আফরোজা খান রিতার ৩০-৪০ জন সমর্থক অবস্থান করছিলেন। এর পাশেই উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
বিএনপির প্রার্থী গাড়ি থেকে নামার পর পরই যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৪০-৫০ নেতাকর্মী তার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় আফরোজা খান কর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে কালু শাহর মাজার জেয়ারত করে বের হওয়ার সময় বিএনপি প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের ওপর চড়াও হন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির প্রার্থীর ওপর হামলার চেষ্টা করলেও তিনি (আফরোজা খান) গাড়িতে ওঠে বসেন। এ সময় উপজেলা যুবলীগ নেতা আবদুল খালেক বরকত ও রেজাউল করিমের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা করেন। এতে বিএনপির প্রার্থীর অন্তত আটজন কর্মী ও সমর্থক আহত হন।
মানিকগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপি প্রার্থী আফরোজা খান রিতা জানান, সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে নির্বাচনী প্রচারে বাধা দেন। তার কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা করা হয়। এ ঘটনায় তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মানিকগঞ্জ-৩ আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। তিনি বলেন, মাঠে নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু রয়েছে।
সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, যুবলীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর চড়াও হয়ে ওঠে বলে শুনেছি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।