মোঃ শফি আলম
মানিকগঞ্জ পশ্চিম সেওতা মোঃ সেলিম মিয়া (৩০) নামের এক রংমিস্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পৌরসভার পশ্চিম সেওতা এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত সেলিম পশ্চিম সেওতা এলাকার মোঃ ওমর আলীর ছেলে। তার সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী ঝুমা আক্তার ও আড়াই বছরের ১টি ছেলে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, নিহত সেলিম মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় কন্ট্রাকের মাধ্যমে রং এর কাজ করতো। পাশাপাশি কৃষি কাজের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করতো। পরিবারের কাজকর্ম ও সেলিমকে দেখতে একটু খাটো দেখায় সংসারে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। বিগত কয়েক দিন আগে স্ত্রী ঝুমা দুজনের মধ্যে ঝগড়া করে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। সেলিমের পরিবার থেকে তার পিতা-মাতা সহ র্পাশ্ববর্তী মুরুব্বিরা তার স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিল কিন্তুু ঝুমার পরিবার না দিয়ে তাদেরকে আরো অপমান করে দিয়েছিলো। রাগে অভিমানে সেলিম আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়। মঙ্গলবার সকালে ফোন দিয়ে তার স্ত্রীকে আসতে বলে না আসলে সে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করবে সে তার স্ত্রীকে বলে। ফোন দেওয়ার পরপরই সেলিম তার ঘরের ধন্নার সাথে দড়ি দিয়ে ফাসঁ নেয়। তার পিতা ওমর আলী ছেলের কোনো শব্দ না পাওয়ায় ঘরের সামনে যায় গিয়ে দেখে ঘর আটকানো অনেক ডাকা ডাকির পর ঘরের ঝাপ ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ দেখতে পায়। পরিবারের লোকজন এ অবস্থা দেখে তাকে নামিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎস তাকে মৃত ঘোষনা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। মানিকগঞ্জ সদর থানার সাব-ইন্সেপেক্টর (এস আই) মোঃ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হবে।