স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের ঘিওরে এক নারীকে প্রতারণার মাধ্যমে জিম্মি করে গত ৪ বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগে নালী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলী হোসেন (আলীর) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। সে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার নালী ইউনিয়নের হেলাচিয়া গ্রামের স্থানীয় মেম্বর দরবেশ বেপারীর ছেলে। সে বিবাহিত। এলাকায় তার স’মিল, রাইস মিল, পোল্টি মুরগীর ফারম ও ফার্নিচারের দোকান রয়েছে।
ওই নারীর অভিযোগ তার কথা মত না চললে তাকে অমানবিক শারীরীক নির্যাতন সহ্য করতে হয়।ওই ব্যক্তির কথায় সে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন মানুষের সাথে শারীরীক সম্পর্ক করতেও বাধ্য হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই ব্যক্তি ওই নারীকে দিয়ে গ্রামীণ ব্যাংক, আশা, গণকল্যাণ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ৮ লাখ টাকা ২৫ হাজার টাকা ঋণ উঠিয়ে নিয়েছে। এদিকে এলকার লোক ঐ ঋণের টাকা পরিষদের জন্য জন্য চাপ দিচ্ছে। এখন ওই ব্যক্তির কুনজর পড়েছে ওই নারীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ের দিকে। মেয়ের সাথে শারীরীক সম্পর্ক না করতে দিলে এ বিষয়ে তার স্বামীকে জানাবে এবং তার গোপন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখাচ্ছে। প্রথমে মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও, সে তার মেয়ের ইজ্জত বাঁচাতে মঙ্গলবার রাতে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
তিনি মামলায় উলে¬খ করেছেন, মঙ্গলবার দুপুরে ওই নারীকে তার মেয়েসহ মানিকগঞ্জের উত্তর সেওতা এলাকার রানার স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের ৪তলা বিশিষ্ট বাসার চিলাকোঠার কক্ষে যেতে বলে। না গেলে কিস্তির ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা ফেরত না দেয়ার হুমকি দেয়। প্রাণনাশের হুমকিসহ ইন্টানেটে তার ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় সে।
উপায়ন্তর না দেখে ওই নারী তার মেয়েকে নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাড়ির চিলে কুঠার কক্ষে যায়। প্রথমে ওই ব্যক্তি ওই নারীকে ধর্ষণ করে এবং পড়ে অন্য কক্ষ থেকে তার মেয়েকে এনে ধর্ষণ করতে উদ্যত হয়। কিন্তু মাঝে মধ্যেই অপরিচিত পুরুষরা নারী নিয়ে ওই বাড়িতে আসে এমন সন্দেহের ভিত্তিতে কয়েকজন স্থানীয় লোক উক্ত সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই ব্যক্তি তার ব্যহৃত স্মার্ট মোবাইল ফোনটি ফেলেই পালিয়ে যায়। ওই নারীকে সেখানে পেয়ে স্থানীয়রা জিজ্ঞেস করাতেই এই লোমহর্ষক ঘটনা জানা যায়।
মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুজ্জামান বলেন,এ ব্যাপারে মো. আলী এবং তার এই অপকর্মে সহায়তা করার জন্য ওই বাড়ির মালিক মনোয়ারা বেগম (মনিরা) বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আশরাফুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আসামীদের গেপ্তারের চেষ্টা চলছে। উদ্ধার হওয়া মোবাইলটিকে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
ওই হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: লুৎফর রহমান বলেন, ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।