স্টাফ রিপোর্টার:
পাবনার ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় প্রেমিকার কাছে রেখে আসা মোবাইল ফোন আনতে গিয়ে স্বজনদের মারধরে প্রাণ হারিয়েছেন হৃদয় হোসেন (১৮) নামে এক যুবক।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার সাঁড়া গোপালপুর মতি মোল্লার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
হৃদয় ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের মাঝদিয়া ইসলামপাড়া গ্রামের দিনমজুর আব্দুল হালিমের ছেলে। তিনি সাঁড়া ঝাউদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সাঁড়া গোপালপুর গ্রামের ইসলাম হোসেনের মেয়ে খাদিজা খাতুনের (১৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল হৃদয়ের। সেই সুবাদে শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে হৃদয় খাদিজার বাড়িতে যান। এসময় বাড়ির লোকজন টের পেলে সে পালিয়ে যান। যাওয়ার সময় তার মোবাইল ফোনটি প্রেমিকার কাছে রয়ে যায়।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোবাইলটি নিতে ফের প্রেমিকার বাড়িতে গেলে খাদিজার ভাই আনিছ ও খালাতো ভাই সজিব তাকে মারধর করেন। একপর্যায়ে হৃদয় জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় আনিছ ও সজিব। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঈশ্বরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত চিকিৎসক মমতাজ পারভীন জানান, দুপুরে দুই যুবক অচেতন অবস্থায় হৃদয়কে হাসপাতালে নিয়ে আসে। হৃদয় তাদের বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে তারা জানায়। জরুরিভিত্তিতে ইসিজি করে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। এরপর ওই দুই যুবক পালিয়ে যায়। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
হৃদয়ের বাবা আব্দুল হালিম বলেন, দুপুর একটার সময় আমার ছেলের মোবাইলে ফোনে কল করলে অন্য একজন ফোনটা রিসিভ করে। সে সময় ছেলের চিৎকার শুনেছি, তারপর থেকে মোবাইলটি বন্ধ রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দীন বলেন, খবর পেয়ে ঈশ্বরদী হাসপাতাল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।