1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মানিকগঞ্জে নারীর মরদেহ উদ্ধার মানিকগঞ্জে নবগঠিত কমিটি শহিদ জিয়া পরিষদে আনন্দ মিছিল ও শুভেচ্ছা বিনিময় মানিকগঞ্জে প্রবাসী ও যুবসমাজের অর্থায়নে কাঁচারাস্তা সংস্কার মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আপেলে খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র শর্টগান উদ্ধার মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে এক পরিবারে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন, চরম ভোগান্তিতে পরিবারটি বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে দুই উপজেলায় মানববন্ধন মানিকগঞ্জে ১০ম গ্রেড ও শতভাগ  পদোন্নতির দাবি সহকারী শিক্ষকদের মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত, আহবায়ক জাহাঙ্গীর, সদস্য-সচিব শাহানুর পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ কাজে সফল হওয়ার জাপানি নীতি

মিথ্যা যদি বলতেই হয়…

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৪৫৫ বার দেখা হয়েছে

মিথ্যা বলতে গেলে যদি আপনার আটকে যায়, তাহলে সেটা খারাপ কিছুই না। মাঝে মাঝে আপনার কাজের সুবিধার্থে ছোটখাটো মিথ্যা বলার প্রয়োজন পড়ে। এতে কারোর ক্ষতি হয়না বরং সামান্য গা বাঁচানো মিথ্যা তো আমরা সকলেই কমবেশি বলে থাকি। তবে সবাই এই মিথ্যা সমানভাবে বলেনা। কারোটা বাস্তবিকভাবে সত্যি বলেই মনে হয় এবং কারোটা মনে হয় একেবারে ডাহা মিথ্যা। সুতরাং আপনি আপনার কাজের সুবিধার্থে যদি কোনো সময় গা বাঁচানো মিথ্যা বলতে চান তাহলে কিভাবে সেটা মোটামুটি গ্রহণযোগ্য করে তুলবেন এবং আপনার শারীরিক অঙ্গভঙ্গি কেমন হবে তা নিয়েই আমাদের আজকের এই প্রতিবেদন।

আপনার স্বভাবগত আচরণ ঠিক রাখুন: পুলিশ বা গোয়েন্দা বিভাগের অফিসাররা কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হলে তাদের শুরুতে একেবারে সাধারণ প্রশ্ন করে থাকেন, যেমন: নাম কী, বাসা কোথায়, পড়াশোনা কতদূর ইত্যাদি। এসব বিষয় নিয়ে সাধারণত মানুষ মিথ্যা বলে না। এসব প্রশ্নের মাধ্যমে তারা মানুষের স্বভাবগত আচরণ যাচাই করেন। কেননা এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে কেউ ঘাবড়ে গেলে তাকে সন্দেহের আওতায় আনা হয়। তারপর তারা নানান রকম কঠিন এবং কৌশলী প্রশ্ন করতে থাকেন। তখন তারা যাচাই করেন ব্যক্তির স্বভাবগত আচরণ পাল্টায় কিনা।

আসলে অনেক বিষয় স্বভাবগত আচরণের ওপর নির্ভর করে। পুলিশ বা গোয়েন্দা অফিসার যারা সাধারণত এসব জিজ্ঞাসাবাদের কাজ বেশি করে থাকেন, তারা ততক্ষণ পর্যন্ত শক্ত শক্ত সব প্রশ্ন করতে থাকেন যতক্ষণ না কারো স্বভাবগত আচরণে কোনো পরিবর্তন তারা দেখতে পান।

সুতরাং আপনি যদি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অনর্গল মিথ্যা বলতে চান তাহলে আপনাকে মাথা ঠান্ডা রেখে এমনভাবে কথা বলতে হবে যেন সবকিছুই সত্যি। তবে আপনার স্বভাবগত আচরণে পরিবর্তন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনের অজান্তে এবং হুট করে হয়ে যায়।

ঘনঘন ঢোক গিলবেন না: এটা খুবই স্বাভাবিক যে মানসিক চাপে থাকলে সকলেই ঘন ঘন ঢোক গিলে থাকেন। তার মানে এই নয় যে, আপনি মিথ্যা বলছেন। তবে এটা ভেবে নেয়া স্বাভাবিক যে, কোনো কিছুতে একটা গোলমাল অবশ্যই আছে।
আসলে মানসিক চাপে থাকলে ঘন ঘন ঢোক গেলা থেকে নিজেকে বিরত রাখা প্রায় অসম্ভব। তবে আপনি যদি মিথ্যাকে বিশ্বাসযোগ্য সত্যি বানাতে চান তাহলে এটি থেকে অবশ্যই আপনাকে বিরত থাকতে হবে।

শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন: মানসিক চাপ এবং মস্তিষ্কের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে খুবই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। ঘন এবং দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমে মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা হওয়ার চেষ্টা করে। তাই কেউ মানসিক চাপে থাকলে সাধারণত ঘন এবং দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে থাকে।

বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, কেউ মিথ্যা বলে বা প্রতারণামূলক কথা বলে বড় করে একটা নিঃশ্বাস ছাড়ে। এটা মস্তিষ্ক ঠাণ্ডা করার জন্য সাধারণত করা হয়ে থাকে। সুতরাং মিথ্যা কথা বলার পর আপনি যদি বড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়েন তা অবশ্যই সন্দেহের কাতারেই পড়বে। তাই যতটা পারেন দীর্ঘশ্বাস ছাড়া থেকে বিরত থাকুন।

ত্বক স্পর্শ করবেন না: মানুষ মানসিক চাপে থাকলে তার মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হয়। সেকারণে আমরা স্বভাবতই নিজের ত্বক স্পর্শ করে ফেলি এবং এর ফলে মস্তিষ্কের তাপ ছেড়ে দিতে সুবিধা হয়। মিথ্যা বলার সময় একইভাবে মানুষ মানসিক চাপের মধ্য দিয়ে যায় এবং তখন শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী হাত, চেহারা বা শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করে থাকে।

শরীরের বিভিন্ন অংশ স্পর্শ করা আসলে মস্তিষ্ক তার নিজের চাহিদা অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করে থাকে যা আমাদের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা একটু কষ্টসাধ্য, তবে অসম্ভব নয়। প্রায়ই মানুষ মিথ্যা বলার সময় গালে হাত দিয়ে ঘষাঘষি করা, হাত নাড়ানো, নাক চুলকানোসহ নানান কাজ করে থাকে।

নিকটত্ব বজায় রাখুন: সাধারণত মিথ্যা বলার সময় আমরা যার সঙ্গে কথা বলি তাদের থেকে আমরা নির্দিষ্ট একটা দূরত্ব বজায় রাখি। এই দূরত্ব সন্দেহের জন্ম দিতে পারে। তাই মিথ্যা বলার সময় যতটা পারেন নিকটত্ব বজায় রাখুন। এতে আপনার মিথ্যাগুলো আরো বিশ্বাসযোগ্য হবে।

কথা সংক্ষিপ্ত করবেন না: আপনি একমাত্র আপনার বাচনভঙ্গি দ্বারা কোনো কথাকে সত্য বা মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে পারেন। আপনার ব্যবহৃত শব্দগুলো নির্ধারণ করে দেবে আপনার কথা বিশ্বাসযোগ্য কিনা। গবেষণায় দেখা গেছে যে, একজন সত্যবাদী ব্যক্তি কখনও তার কথা সংক্ষিপ্ত করে বলেন না, অন্যদিকে একজন মিথ্যাবাদী প্রায়শই কথা সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করেন। তাই আপনি কথা অর্থাৎ মিথ্যা বলার সময় যতটা পারেন বিশদে বলার চেষ্টা করবেন।

শান্ত থাকার চেষ্টা করুন: আসলে মানসিক চাপের ফলে শরীর থেকে ঘাম বের হওয়া একটি প্রাকৃতিক ব্যাপার। মিথ্যা বলার সময় মানসিক চাপের কারণে আমাদের কপাল, উপরের ঠোটের অগ্রভাগ এবং নাক থেকে ঘাম বের হয়ে থাকে। এটা আটকে রাখা খুবই কঠিন একটা কাজ। তবুও আপনি যতটা পারেন চেষ্টা করুন না ঘামতে।

মিথ্যা বলার সময় মানসিক চাপের কারণে মস্তিষ্ক উত্তপ্ত হয়। একারণে ঘামের মাধ্যমে মস্তিষ্ক তাপ ছেড়ে দেয়। তাই চেষ্টা করুন মিথ্যা বলার সময় যাতে আপনি না ঘামেন। কেননা এর ফলে আপনি সন্দেহের নজরে পড়তে পারেন।

‘আমি মিথ্যা বলিনা’ বলবেন না: আসলে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে, সবাই মিথ্যা বলে। এই জায়গাতে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ নেই। সবাই তাদের নিজ নিজ প্রয়োজনে মিথ্যা বলে থাকে। তাই আপনি কখনো মিথ্যা বলেন না, এই ভিত্তিহীন কথার মাধ্যমে আপনি মানুষের বিশ্বাস অর্জন করতে পারবেন না। গবেষণায় এটি প্রমাণিত যে, যারা বলে তারা মিথ্যা বলেনা, তারা প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মিথ্যার আশ্রয় নেয় বেশি।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury