বিশেষ প্রতিনিধি:
আসন্ন মানিকগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে ৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিল পদপ্রার্থী মো: কবির হোসেনের পক্ষে গনজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার রাতে কান্দাপৌলী জনকল্যাণ ক্লাব প্রাঙ্গনে আয়োজিত নির্বাচন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় এই গনজোয়ার সৃষ্টি হয়। তরুন ব্যবসায়ী মো. কবীর হোসেনকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তাকে বিজয়ী করতে সবধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন পৌলী, কান্দা পৌলীসহ আশেপাশের এলাকার নানাবয়সী হাজারো নারী-পুরুষ। সন্ধ্যায় শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত চলমান ওই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেবন হাফেজ উদ্দিন মাতাব্বর।
এই সভায় কাউন্সিলার প্রার্থী মো. কবির হোসেন ছাড়াও আরও বক্তব্য রাখেন প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আলমগীর হোসেন, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা আব্দুল মালেক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা সিকদার শাহাদত হোসেন, খাজা রহমত আলী কলেজের প্রভাষক মশিউর রহমান, ৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, প্রার্থী কবির হোসেনে ভাই অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা, কান্দাপৌলী জনকল্যাণ ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব, পৌলী বুলবুল ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মো: তজুমুদ্দিন, জেলা শ্রমিকলীগের দপ্তর সম্পাদক নুর মোহাম্মদ নুরা, জেলা তরুনলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহমান, মোছলেম উদ্দিন বাবু, মারুফ হোসেন বিশ্বাস, কাজী রফিকুল ইসলামসহ এলাকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা ও গন্যমান্য ব্যক্তিরা।
বক্তারা বলেন, মো. কবীর হোসেন একজন তরুন ব্যবসায়ী। তিনি সৎ, চরিত্রবান, সদালাপী এবং দানবীর। কবির যেমন সুন্দর, তার মনও সুন্দর। তিনি বিগত সময়ে এলাকার ঈদ গাঁহ মাঠের জন্য ১০ লাখ টাকা, পৌলী বুলবুল ক্লাবের মাঠে মাটি ফেলার জন্য এক লাখ টাকাসহ বিভিন্ন মাসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও স্থানীয় সামাজিক কাজে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন। তাঁর এসব দানের কথা তিনি কখনও বলেননি। তিনি বা তাঁর পরিবারের কোন সদস্য কখনও কারও সাথে দুর্ব্যবহার করেননি। তিনি অত্যন্ত সদালাপী এবং চরিত্রবাণ ব্যক্তি। অবহলিত ৭নং ওয়ার্ডকে আধুনিক ওয়ার্ড গড়ার সামর্থ তাঁর আছে। কবির কাউন্সিলার না হয়েই যদি এত প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিতে পারে তাহলে কাউন্সিলার হলে আরো দিতে পারবে।
তারা আরও বলেন, ইতিপূর্বে অনকেই পৌলী এলাকার ভোটে কাউন্সিলার নির্বাচিত হয়েছেন। কিন্তু নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর পৌলী এলাকার উন্নয়ন করেননি। তাই এবার পৌলী, কান্দা পৌলীসহ আশেপাশের এলাকার নারী-পুরুষ জোট বেঁধেছে-এবারের নির্বাচনে এলাকার বাইরের কোন প্রার্থীকে তারা ভোট দিবেন না। এলাকার যোগ্য প্রার্থী মো. কবীর হোসনকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
তারা বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী মো. কবীর হোসেনের সাথে সরকারদলীয় নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তিনি নিজেও যথেষ্ট সামর্থবান। ছোট-খাটো কাজ করতে তাকে কোন বেগ পেতে হবে না।
ক্উান্সিলার প্রার্থী কবির হোসেনের ভাই অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রেজা বলেন, মানুষের কোন জাত নাই, আমরা সবাই মানুষ। দল-মত, শ্রেণী, গোত্র, ধর্ম ভুলে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলাকার উন্নয়নে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, কবির আপনাদের সন্তান, আপনাদের ভাই। কোন ভুল করে থাকলে আপনারা মাফ করে দিবেন।
কাউন্সিলার প্রার্থী মো. কবির হোসেন বলেন, আমি আপনাদের সন্তান। এলাকার প্রতি আমার দায়িত্ব রযেছে। আমি এবারের বন্যা ও করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিদের ৭ লাখ টাকার ত্রাণ দিয়েছি। আমি আরও অনকে কিছু করতে চাই। অবহেলিত ৭নং ওয়ার্ডকে আধুনিক ওয়ার্ডে রুপান্তর করতে চাই। আমার জন্য দোয়া করবেন। আল্লাহ পাক আমাদের অনেক দিয়েছে। ব্যক্তিগত টাকা থেকে সকল দাবী পুরন করে দিব। আমি আপনাদের ভোট চাই, দোয়া চাই। একটি বারের জন্য সুযোগ চাই। আমি কথা দিচ্ছি, সবসময় আপনাদের পাশে থাকবো।