1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মানিকগঞ্জে নারীর মরদেহ উদ্ধার মানিকগঞ্জে নবগঠিত কমিটি শহিদ জিয়া পরিষদে আনন্দ মিছিল ও শুভেচ্ছা বিনিময় মানিকগঞ্জে প্রবাসী ও যুবসমাজের অর্থায়নে কাঁচারাস্তা সংস্কার মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আপেলে খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র শর্টগান উদ্ধার মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে এক পরিবারে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন, চরম ভোগান্তিতে পরিবারটি বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে দুই উপজেলায় মানববন্ধন মানিকগঞ্জে ১০ম গ্রেড ও শতভাগ  পদোন্নতির দাবি সহকারী শিক্ষকদের মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত, আহবায়ক জাহাঙ্গীর, সদস্য-সচিব শাহানুর পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ কাজে সফল হওয়ার জাপানি নীতি

ইতিহাসের কলঙ্কজনক অধ্যায় জেল হত্যা দিবস আজ

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০২০
  • ৩৯৬ বার দেখা হয়েছে

আজ জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতাকে কারাগারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল।  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যার পর জাতির ইতিহাসে ৩ নভেম্বর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায়।

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম বীর সেনানী ও চার জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ, এএইচএম কামারুজ্জামান এবং ক্যাপ্টেন মনসুর আলীকে এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের অভ্যন্তরে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

জাতি আজ মুক্তিযুদ্ধের চার জাতীয় নেতাকে যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশের ইতিহাসের বর্বরোচিত এই কালো অধ্যায়টিকে স্মরণ করছে। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দল ও সংগঠন স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে দিবসটি পালন করছে।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা শহীদ জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহবান জানিয়ে বলেন, এটাই হোক জেল হত্যা দিবসের অঙ্গীকার। রাষ্ট্রপতি বলেন, বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান কারাগারে বন্দি থাকাবস্থায় তাঁর অবর্তমানে ১৯৭১ সালে জাতীয় চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠন, রণ নীতি ও রণ কৌশল প্রণয়ন, প্রশাসনিক কর্মকান্ড ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা, কূটনৈতিক তৎপরতা, শরণার্থীদের তদারকিসহ মুক্তিযুদ্ধকে জনযুদ্ধে পরিণত করতে অসামান্য অবদান রাখেন। জাতি তাদের অবদান চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঁচাত্তরের ৩ নভেম্বর কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, তাদের আত্মত্যাগ বাঙ্গালি জাতি চিরকাল শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতা হত্যাকান্ড ছিল বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকান্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশ বিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙ্গালি জাতিকে নেতৃত্ব শূন্য করার অপচেষ্ট চালিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহচর হিসেবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জমানকে ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারাগারের অভ্যন্তরে এ ধরনের বর্বর হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন।

দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, আজ সূর্য উদয়ের সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ। সকাল ৮ টায় ধানমন্ডির বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে দিনটির কর্মসূচি শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে বনানী কবরস্থানে জাতীয় চার নেতার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে।  একই ভাবে রাজশাহীতে জাতীয় নেতা কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে। বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।  সভায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংযুক্ত হবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য তারা আগে ভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন।

দক্ষিণ এশিয়ার প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থ’নি মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ অ্যা লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনায় জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়।  পরিকল্পনাটি এমন ভাবে নেয়া হয়েছিল পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে যাতে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury