বিশেষ প্রতিনিধি :
স্কুলড্রেস পেলো দিশারী স্কুলের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা শহরের বেউথা বস্তি সংলগ্ন এলাকায় বঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত দিশারী স্কুল প্রাঙ্গনে দিশারী স্কুলের তৃতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুল ড্রেস তুলে দেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দুর-রে- শাহওয়াজ।
দিশারীর সভাপতি হাসান শিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন দিশারীর উপদেষ্টা এবং মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস, সরকারী দেবেন্দ্র কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান, খানবাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের প্রভাষক রুহুল জামাল সুজন, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক আমার নিউজ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক মো: আকরাম হোসেন, মানিকগঞ্জ ড্রামা সার্কেলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এম শহীদুল হক তপন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান শহীদ, দিশারীর উপদেষ্টা প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, টিচার্স ড্রীমের অ্যাডমিন রোজিনা মাহমুূদ ও এম রাব্বি, জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতোয়ার হোসেন, দিশারীর সাধারন সম্পাদক আবুল হাসানাত, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: স্বপন মিয়া, অর্থ সম্পাদক শামীম-জোপা-বৃষ্টি প্রমুখ । এসময় দিশারীর শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্য শেষে দিশারীর শিক্ষার্থীদের হাতে স্কুলড্রেস তুলে দেন। বঙ্গবন্ধুর জন্মতশবার্ষিকী উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা পরিষদের অর্থায়ণে তৈরী করা হয় বিদ্যালয়ের ৫০ জন বিভিন্ন বয়সি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুল ড্রেস।
উল্লেখ্য, সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌসের নির্দেশনায় ও আর্থিক সহায়তায় সরকারী জায়গার ওপর ইটের দেওয়াল ও এসএস’র দর্শণীয় গেট ঘেরা স্কুল ভবন তেরী হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত কোন পোশাক ছিল না। জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস এবং জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রধান দুর-রে-শাহওয়াজ শিক্ষার্থীদের জন্য পোশাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই অনুযায়ী জেলা পর্যায়ে সরকারের এই শীর্ষ দুই কর্মকর্তা দোকানে গিয়ে কাপড়ের রং নির্দারণ ও ক্রয় করেন। পরে শিক্ষার্থীদের মাপ অনুযায়ী পোশাক তৈরী করা হয়। স্কুল ড্রেস পেয়ে খুবই খুশী হয়েছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের হাতে পোশাক
বিতরণশেষে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে কেক কাটা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি ইভেন্টের ক্রীড়া ও কুইজ প্রতিযোগিতা।
প্রতিযোগিতা শেষে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ভলান্টিয়ার, সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির সদস্যরা এবং অতিথিদের উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়।
বিকেলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন দিশারীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান উপদেষ্টা, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। এসময় তাঁর সাথে ছিলেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান রুমেল।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অভিনয়, আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করে সংগঠনটির সদস্যবৃন্দ।