আমার নিউজ ডেক্স:
জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার ০২-০৪-২০২১ তারিখের সংখ্যার প্রথম পাতায় ‘মানিকগঞ্জ পরিবহন খাত-বছরে ১০ কোটি টাকা চাঁদা তোলেন সরকারদলীয়রা’শীর্ষক যে সংবাদবাদটি প্রকাশিত হয়েছে তা ভিত্তিহীন, উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বানোয়াট। আমাকে এবং আমাদের দলকে জড়িয়ে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশে আমাদের মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। আমি প্রকাশিত সংবাদটির প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমি দায়িত্বগ্রহণ করার পর, পরিবহন সেক্টরের নৈরাজ্য, বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম বন্ধ করে স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের বিধিনিষেধ রক্ষা করে চলার জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। অতীতের যেকোন সময়ের তুলনায় এখন পরিবহনের মালিক, শ্রমিকরা ভালো আছেন। কিন্তু পত্রিকাটির প্রতিবেদক নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের সাথে আঁতাত করে তাদের ইন্ধনে এবং তাদের স্বার্থ হাসিল করতেই এই অসত্য সংবাদ পরিবেশন করেছেন। এতে আমার এবং সরকারের সুনাম নষ্ট হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে মানিকগঞ্জের ৭০০টি বাস থেকে গড়ে ৩০০ টাকা তোলা হয়। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের নিয়ন্ত্রণে স্থানীয় বাস রয়েছে মাত্র ৭০টি। সেই সব বাস থেকে পরিবহন মালিক সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অফিস ভাড়া, টিকিট ছাপা, কর্মচারীদের বেতন ও ওয়েবিল খরচ বাবদ সার্ভিস চার্জ হিসেবে নেওয়া হয় ৩০ টাকা, টার্মিনাল পরিচালনার সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১০ টাকা এবং নৈশপ্রহরীর জন্য ১০টাকা। এছাড়া, মানিকগঞ্জের ওপর দিয়ে চলাচলরত প্রায় দেড়শত বাস-মিনিবাস থেকে পৌর টার্মিনাল পার্কিং হিসেবে ৫০টাকা, শ্রমিক ইউনিয়নের সার্ভিস চার্জ ৩০টাকা এবং অফিস ভাড়া, টিকিট ছাপা, কর্মচারীদের বেতন ও ওয়েবিল খরচ বাবদসহ নেওয়া হয় ৫০টাকা। সিএনজি, অটোরিক্সা এবং হ্যালোবাইক থেকে কোন ধরণের সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয় না। শুধুমাত্র মানিকগঞ্জ পৌরসভার ইজারাদার হিসেবে কেন্দ্রীয় পৌর বাস টার্মিনালের টোল হিসেবে প্রাইভেট কার, মাইক্রো, মেক্সি থেকে ৪০ টাকা, টেম্পু, সিএনজি থেকে ৩০ টাকা এবং হ্যালোবাইক থেকে ১০ টাকা হারে আদায় করে। বিধিবহির্ভুতভাবে কোন পরিবহন থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় না। সরকারী বিধি অনুযায়ী সকল কার্যক্রম পরিচালনা হয়ে থাকে। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, মানিকগঞ্জের কোন স্থানেই চাঁদাবাজি হয় না। অতএব প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ,সভাপতি, মানিকগঞ্জ বাস,মিনিবাস,মাইক্রোবাস, অটোটেম্পু ওনার্স গ্রুপ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।