স্টাফ রিপোর্টার ঃ
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পোদ্যোক্তা ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক মন্ত্রী হারুণার রশিদ খান মুন্নু’র চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকালে সদর উপজেলার গিলন্ড মুন্নু মেডিকেল কলেজের পাশে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলী জানান মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, মুন্নু মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো: আখতারুজ্জামান,কলেজের পরিচালক ডা: মোশারফ হোসেন দেওয়ান, মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের এইচ,আর,এডমিন মো: আব্দুল আওয়াল বুলবুল, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে:কর্ণেল (অবসরপ্রাপ্ত)মো: জহিরুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি নাসির উদ্দিন আহম্মেদ যাদু, সাধারন সম্পাদক এস এম ইকবাল হোসেনসহ তার গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা।
o
এছাড়া মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে দিবব্যাপী মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় এক হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা,দুস্থদের রোগীদের মাঝে বিনামূল্যে ঔষুধ বিতরণ, ৬টি এতিমখানার মানুষের মাঝে বিশেষ খাবার বিতরণ ও শতাধিক দুস্থ প্রতিবন্ধীর মাঝে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য,হারুণার রশিদ খান মুন্নু’র পৈতৃক বাড়ি মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের ইব্রাহিমপুর গ্রামে। চার্টার্ড এ্যাকাউন্টস (সিএ) কোর্স সম্পন্ন করা মুন্নু ঢাকার ওয়ারীতে মুন্নু আর্ট প্রেসের মাধ্যমে তাঁর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিলেন, তার পূর্ণতা পায় মুন্নু গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে। তিনি মুন্নু সিরামিক, মুন্নু জুটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, মুন্নু ফেব্রিক্স লিঃ ও মুন্নু অ্যাটায়ার লিমিটেডসহ বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান করেছেন। সমগ্র জীবনের উপার্জন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনে উইল করেছেন, যার মাধ্যমে শিক্ষা ও সমাজ উন্নয়নে রেখেছেন অনন্য অবদান। মুন্নু মেডিকেল কলেজ এ্যান্ড হসপিটাল, মুন্নু নার্সিং ইনস্টিটিউট, মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এ্যান্ড কলেজসহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তার সৃষ্টি। কৃষিপ্রধান মানিকগঞ্জকে শিল্পাঞ্চলে রূপান্তরের পেছনে তাঁর ভূমিকা অসামান্য। জেলাবাসী তাঁকে ‘দানবীর’ হিসেবে স্মরণ করেন।
প্রয়াত মুন্নু বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে এবং ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ-২ ও মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে দুটি আসনে জয়লাভ করার পর তিনি মন্ত্রী হন।