কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানীতে বিনিয়োগকারীরা গত দুই বছর বছর ধরে লভ্যাংশ পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
আজ (বুধবার) দুপুরে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন ওই ওসুধ কোম্পানীতে অর্থ বিনিয়োগকারী মানিকগঞ্জের চিকিৎসক, চিকিৎসা সহকারী ও ব্যবসায়ীরা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মানিকগঞ্জ জেলা কার্যালয় থেকে উপ-পরিচালক হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক রঞ্জিত কুমার মন্ডল। তিনি বলেন, ‘ডাক্তার বিনিয়োগ স্কীমে’ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের মতো মানিকগঞ্জের ৭০ থেকে ৭৫জন চিকিৎসক, চিকিৎসা সহকারী এবং ওষুধ ব্যবসায়ী ২০০৩ সাল থেকে শুরু করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অংকের টাকা কোম্পানীতে বিনিয়োগ করেছেন। শুরুতে ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ হিসেবে প্রতি লাখে একহাজার ৬৬৭ টাকা হারে দেওয়া হতো। কিন্তু ২০১৭ সালে এই লভ্যাংশ কমিয়ে ১৩ শতাংশ করা হয়। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ২০১৮ সাল পর্যন্ত লভ্যাংশ পেলেও এর পর থেকে কোম্পানীর পক্ষ থেকে কোন লভ্যাংশ দেওয়া হচ্ছে না। গত দুই বছর ধরে লভ্যাংশ না পেয়ে বিনিয়োগকারী রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে ঘোরাঘুরি করেও কোন লাভ হয়নি। মালিকপক্ষের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছেন। পরে বাধ্য হয়ে কয়েকজন বিনিয়োগকারী লভ্যাংশসহ বিনিয়োগকৃত টাকা ফিরে পেতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাদের শংকা এই কোম্পানী বিনিয়োকৃত টাকা তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করে কেমিকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানীকে দেউলিয়া ঘোষণা করে বিনিয়োগকারীদের টাকা আত্মসাৎ করবে।
সংবাদ সম্মেলনে অংশ গ্রহণকারী ডা. রঞ্জিত মন্ডল ২০০৩ সালে এক লাখ, ২০০৪ সালে এক লাখ, ২০০৫ সালে এক লাখ এবং ২০০৮ থেকে ২০০৯ সালে ২৬ লাখ মিলে মোট ৩০ লাখ বিনিয়োগ করেছেন। এছাড়া বিভিন্ন সময়ে ডা. বিকাশ চন্দ্র তরফদার এবং তাঁর স্ত্রী ডা. ৩০ লাখ করে মোট ৬০ লাখ টাকা, ডা. নরেন্দ্র কুমার রায় ৩০ লাখ টাকা, ডা. মো: ওসমান গণি ১৪ লাখ, চিকিৎসা সহকারী কমল কৃষ্ণ সাহা ৭ লাখ, খুকু রানী সান্যাল ৬ লাখ, তোফায়েল হোসেন ৩ লাখ, আব্দুল মোন্নাফ মিয়া ২ লাখ এবং ওসুধ ব্যবসায়ী পংকজ কান্তি সাহা ৭ লাখসহ মানিকগঞ্জের ৭৫ জন প্রায় ১০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেন। এভাবে সারাদেশের চিকিৎসক, চিকিৎসা সহকারী এবং ওষুধ ব্যবসায়ীরা এই কোম্পানীতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
তারা বলেন, ওষুধ কোম্পানী হিসেবে এই কোম্পানীর সুনাম রয়েছে। ওমক্সে, কেফিন, কেসল্ড ওষুদের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। এছাড়া ওই কোম্পানীর রয়েছে আরও সাতটি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
তারা সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সহায়তা চেয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে ওই কোম্পানীর উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফজলুল হকের (০১৮৪১০০৬০১২) সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি ফোন কল রিসিভ করেন।