1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৩৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পরিবেশ দূষনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে: গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী সিংগাইরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা উপজেলা ভোটে লড়তে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ আল—আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা মানিকগঞ্জ সম্পাদক পরিষদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা পরীমনির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় পিবিআইয়ের প্রতিবেদন টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

ভারতে আরও ইলিশ পাঠালে বাংলাদেশে দাম ঠিক থাকতো: আনন্দবাজার

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৭ অক্টোবর, ২০২১
  • ৪৯০ বার দেখা হয়েছে

চলতি বছর মৌসুমের শুরু থেকেই ইলিশের দাম দেশের নিম্নবিত্ত মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে। মাঝেমধ্যে কিছুটা কমার খবর পাওয়া গেলেও তা সহজলভ্য হয়নি কখনোই। বরং প্রতি কেজি ইলিশ দেড়-দুই হাজার টাকায় বিক্রির খবর শোনা গেছে হরহামেশা। অথচ কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা দাবি করেছে, ভারতে আরও বেশি রপ্তানি করলেই নাকি বাংলাদেশে ইলিশের উপযুক্ত দাম মিলতো!

এ বছর দুর্গাপূজা সামনে রেখে ১১৫টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল সরকার। তবে উৎপাদন তুলনামূলক কম ও দেশের বাজারে বিপুল চাহিদা থাকায় গত ৩ অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ১০৮ মেট্রিক টন ইলিশ পাঠাতে পেরেছেন রপ্তানিকারকরা। অনুমতিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান এক কেজি ইলিশও পাঠাতে পারেনি। এতে স্বাভাবিকভাবেই নাখোশ ভারত। আর তার নমুনা মিলছে আনন্দবাজারের প্রতিবেদনেই।

বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) পত্রিকাটি একটি প্রতিবেদনের শিরোনাম করেছে, ‘Hilsha: আরও আরও দাও ইলিশ, ফের আর্জি’। শিরোনামের মতো গোটা প্রতিবেদনজুড়েই ভারতে ইলিশ রপ্তানির পক্ষে নানা সাফাই গাওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ঢাকা আশ্বাস দিয়েছিল ৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির। কিন্তু পৌঁছালো মাত্র ১ হাজার ৮৫ মেট্রিক টন, যা চার ভাগের এক ভাগও নয়। এটি ‘এপার বাংলার’ ইলিশপ্রেমীদের জন্য যথেষ্ট বড় ধাক্কা। তবে ঢাকা আবার সদয় হতে পারে, এমন আশায় রয়েছেন ‘দুই দেশের’ ইলিশ ব্যবসায়ীরা।

বাংলাদেশে গত ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা, চলবে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত। এরপর ফের ইলিশ শিকার শুরু হবে। তখন আবারও পদ্মার ইলিশ পাওয়া যেতে পারে বলে আশা করছেন ভারতীয়রা।

আনন্দবাজারের দাবি, ইলিশ রপ্তানি অব্যাহত রাখার অনুরোধ নিয়ে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির কাছে কয়েক দফায় দেন-দরবার করেছেন পশ্চিমবঙ্গ মৎস্য আমদানিকারক সমিতির সেক্রেটারি সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ। কিন্তু কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। বাণিজ্যমন্ত্রী দুবাই থাকায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে আনন্দবাজার দাবি করেছে, পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ রপ্তানি করা গেলে দেশের বাজারেও এর দাম ‘একটা জায়গায় থাকতো’ বলে মনে করছেন বাংলাদেশের কিছু ব্যবসায়ী। উদাহরণস্বরূপ রফিকুল ইসলাম নামে ‘ঢাকার এক ব্যবসায়ী’র ভাষ্য উল্লেখ করেছে পত্রিকাটি। বলা হয়েছে, রফিকুলের মতো ব্যবসায়ীরা পদ্মার ইলিশ পশ্চিমবঙ্গে পাঠানোর পক্ষে।

এর আগে, গত ২০ সেপ্টেম্বর ভারতে ২ হাজার ৮০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে ২৩ সেপ্টেম্বর প্রতিবেশী দেশটিতে আরও ২ হাজার ৫২০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়। তবে এর জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়, যা নিয়ে তখনই অস্বস্তির কথা জানিয়েছিলেন ভারতীয়রা।

গত ২০ সেপ্টেম্বরের আদেশে ইলিশ রপ্তানির সময়সীমা ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বলা হয়েছিল। কিন্তু ২৩ সেপ্টেম্বরের আদেশে তা কমিয়ে ৩ অক্টোবর বলা হয়। কারণ ৪ অক্টোবর থেকে দেশে শুরু হয়েছে টানা ২২ দিন ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। এ নিয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আনন্দবাজারের একটি প্রতিবেদনে উদ্বেগ জানানো হয়।

তাদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশ থেকে ৩ অক্টোবরের মধ্যে সাড়ে চার হাজার টনের বেশি ইলিশ রপ্তানির শর্তে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের আশা হাওয়ায় মেলাতে বসেছে। এত কম সময়ে এত ইলিশ আমদানি বা রপ্তানি কার্যত অসম্ভব বলে মনে করেন রাজ্যের ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মোহম্মদ ইমরানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার দাবি, ৩ অক্টোবর পর্যন্ত যা ইলিশ ঢোকার ঢুকুক। কিন্তু ২২ অক্টোবরের পরে ধাপে ধাপে যেন বাকি ইলিশও ঢুকতে দেওয়া হয়।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury