1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
সিঙ্গাইরে সর্বজনীন পেনশন স্কিম শীর্ষক অবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণ সভা শিবালয় উপজেলা ছাত্রলীগের বৃক্ষ রোপন বেপজা অর্থনৈতিক জোনে ১৯.৯৭ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে চীনা কোম্পানি ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত ‘তুফান’ ছবিতে যোগ দিলেন চঞ্চল চৌধুরী, দেখা যাবে ‘বিশেষ’ চরিত্রে জাতীয় সংসদের সব উন্নয়নের পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রী: স্পিকার  উপজেলা নির্বাচন: প্রথম ধাপের ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী তরুণদের আস্থা আর বয়োজ্যেষ্ঠদের নির্ভরতার প্রতীক চেয়ারম্যান প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ ভোটেথাকছেনই সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ফুফাতো ভাই ইসরাফিল

ড. ইনামুল হক আর নেই

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ১১ অক্টোবর, ২০২১
  • ৩৫৮ বার দেখা হয়েছে

বরেণ‌্য অভিনেতা ড. ইনামুল হক আর নেই। সোমবার (১১ অক্টোবর) আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত‌্যাগ করেন তিনি (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত‌্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম এ তথ‌্য রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন। এ অভিনেতা বলেন—‘আজকে তিনি (ড. ইনামুল হক) বেইলী রোডের বাসায় ছিলেন। হঠাৎ পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। দ্রুত তাকে শান্তিনগর ইসলামী ব‌্যাংক হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আনুমানিক বেলা ৩টার দিকে মারা গেছেন তিনি।’

ড. ইনামুল হকের মৃতদেহ কোয়ান্টামে নেওয়া হয়েছে। সেখানে গোসল শেষে নিয়ে যাওয়া হবে বেইলী রোডের বাসায়। এরপর শিল্পকলা একাডেমিতে নেওয়া হবে। তবে কোথায়, কখন দাফন করা হবে এখনো চূড়ান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন নাসিম।

ড. ইনামুল হকের স্ত্রী বরেণ্য নাট্যজন লাকী ইনাম। এই দম্পতির হৃদি হক ও প্রৈতি হক নামে দুই কন‌্যা সন্তান রয়েছে।

ড. ইনামুল হকের জন্ম ফেনী জেলায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। ১৯৬৫ সালে প্রভাষক হিসেবে বুয়েটের রসায়ন বিভাগে যোগ দেন। ১৯৭০, ১৯৭৯, ১৯৮৭ সালে যথাক্রমে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার প্রয়াসে বিভিন্ন আন্দোলনমুখী নাটকে অংশগ্রহণ করেন। নাট‌্যচর্চাকে হাতিয়ার করে ১৯৭০ সালে আইয়ুব খানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে তৎকালীন অসহযোগ আন্দোলনে অংশ নেন তিনি।

নটরডেম কলেজে পড়াশোনাকালীন প্রথম মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন ড. ইনামুল হক। ‘ভাড়াটে চাই’ শিরোনামের এ নাটক নির্দেশনা দেন ফাদার গাঙ্গুলী। ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি। দলটির ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। এই দলের হয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’ নাটকে।

এরপর এই দলের হয়ে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’, ‘নূরলদীনের সারাজীবন’সহ আরো অনেক নাটকে অভিনয় করেন তিনি। ১৯৯৫ সালে এই দল থেকে বেরিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’। দলটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এই গুণী শিল্পী।

তার অভিনীত প্রথম টেলিভিশন নাটক ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’। এটি প্রযোজনা করেন মুস্তাফা মনোয়ার। নাট্যকার হিসেবে তার পথচলা শুরু হয় সে বছর। তার লেখা প্রথম নাটকের নাম ‘অনেক দিনের একদিন’। এটি প্রযোজনা করেছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন।

টেলিভিশনের জন্য ৬০টি নাটক রচনা করেছেন ড. ইনামুল হক। তার লেখা উল্লেখযোগ‌্য টিভি নাটক হলো—‘সেইসব দিনগুলি’ (মুক্তিযুদ্ধের নাটক), ‘নির্জন সৈকতে’, ‘কে বা আপন কে বা পর’ প্রভৃতি। মঞ্চের জন্য প্রথম ‘বিবাহ উৎসব’ নাটক রচনা করেন তিনি। নিজ দল নাগরিক নাট্যাঙ্গনের জন্য প্রথম রচনা করেন ‘গৃহবাসী’ নাটকটি। ১৯৮৩ সালে লেখা নাটকটি ঢাকার মঞ্চে আলোচিত হয়।

কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে একুশে পদক লাভ করেন ড. ইনামুল হক। ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত হন বরেণ‌্য এই সাংস্কৃতিক ব‌্যক্তিত্ব।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury