1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
পরিবেশ দূষনের দিক দিয়ে বাংলাদেশ একটি বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবেলা করছে: গৃহায়ন ও গনপূর্ত মন্ত্রী সিংগাইরে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালিত ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা উপজেলা ভোটে লড়তে ইউপি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ আল—আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকে চাকরি, লাগবে না অভিজ্ঞতা মানিকগঞ্জ সম্পাদক পরিষদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা ১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের১৪ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা পরীমনির বিরুদ্ধে নাসির উদ্দিনের মামলায় পিবিআইয়ের প্রতিবেদন টাইম ম্যাগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা ২৪ এপ্রিল থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

মানিকগঞ্জকে বেকারমুক্ত করতে জেলা প্রশাসনের বিশেষ উদ্যোগ

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২
  • ৩০৯ বার দেখা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছেন। বেকারত্ব যুবসমাজের অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেকাররা কর্মের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল হতে না পেরে অনেকেই হতাশা থেকে বিপথগামী হচ্ছেন। আবার কেউ মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়াচ্ছেন। এ কারণে সমাজের বেকার জনগোষ্ঠী তার নিজ পরিবার ও সমাজ থেকে দিন দিন বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে।

এ সকল বেকারের কর্মসংস্থানের জন্য পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন। এ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু হচ্ছে শিবালয় উপজেলা থেকে। এ উপজেলায় যাদের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছর এবং চার বছর ধরে কোনো কর্ম পাচ্ছেন না, বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থার উদ্যোগ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসন নিজ উদ্যোগে শিবালয় উপজেলায় সকল বেকারকে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থান করার জন্য একটি পাইলট প্রগ্রাম হাতে নিয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শুক্লা সরকার (শিক্ষা ও আইসিটি), শিবালয় ইউএনও মো. জাহিদুর রহমান, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ইশতিয়াক আহমেদ ও রিক্তা খাতুনকে সদস্য করে উপজেলার সব ইউনিয়নে গিয়ে ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন’ করছে এই টিম।

এ ক্ষেত্রে প্রথমেই সংশ্লিষ্ট এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার, মসজিদের ইমামসহ এলাকার গণ্যমান্যদের মাধ্যমে বেকার যুবকদের নির্দিষ্ট একটি ফরমে আবেদন করতে হবে। আগ্রহীরা তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং কী কাজে দক্ষ বা আগ্রহী সে বিষয়ে তিনটি পছন্দের তালিকা লেখাসহ প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে আবেদন করবেন। উপজেলার সব আবেদন জমার পর আবেদনকারীদের বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলবে। এরপর শুরু হবে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। প্রশিক্ষণ দেওয়ার পর সবাইকে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। কর্মক্ষম ব্যক্তিদের কয়েকটি ধাপে প্রশিক্ষত করা হবে। ধাপগুলো হলো সকল আবেদনকারীকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, অফিস ম্যানেজমেন্ট ফ্রি ল্যান্সিং, ড্রাইভিং, কৃষি বিষয়ক (হাঁস, মুরগি পালন, মাছ, গাভি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ), ইলেকট্রিক্যাল (রেফ্রিজারেশন, এয়ারকন্ডিশন ও মোবাইল সার্ভিসিং), মহিলা অধিদপ্তরের পরিচালিত প্রশিক্ষণসমূহ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন মানিকগঞ্জ পরিচালিত প্রশিক্ষণ, টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার পরিচালিত প্রশিক্ষণ ইত্যাদি করানো হবে। পরের ধাপে সমবায় সমিতি গঠন ও ঋণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, কর্মসংস্থান ব্যাংক, সমাজসেবা অধিদপ্তর, আরডিএ―এ সকল দপ্তরের সঙ্গে সমবায় সমিতিকে যুক্ত করা হবে। শেষ ধাপে ঋণগ্রহীতাদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। চূড়ান্তভাবে একসময়ের বেকাররা সবাই নিজের কর্মে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উদ্যোক্তা হিসেবে আবির্ভূত হবেন।

উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, বেকার যুবকরা প্রশাসনের কাছে তাদের জীবনবৃত্তান্ত দিয়ে আবেদন করছেন। এ সময় একজন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বেকার রয়েছি। পরিবারের অন্য সদস্যরাও আমার সঙ্গে ভালোভাবে কথা বলে না। আমি তো চিন্তায় থাকি, তার ওপর মা-বাবা বয়স্ক মানুষ। আমার চিন্তায় তারা খুব কষ্ট পান। ডিসি মহোদয় যে উদ্যোগ নিয়েছেন তা বাস্তবায়িত হলে আমরা অন্তত এই অভিশপ্ত জীবন থেকে মুক্তি পেতাম। ‘

মহাদেবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান বলেন, ‘নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে বিষয়টি বলেছি। আমার ইউনিয়নের বেকার যুবকরা সবাই আবেদন করছে প্রতিদিন। বিষয়টি বাস্তবায়িত হলে আমাদের সমাজে বেকার বলে আর কেউ থাকবে না। এমন মহৎ কাজকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। ‘

মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ দৈনেক আমার নিউজকে বলেন, “যারা বেকার রয়েছেন তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করেন। কোথাও এরা মাথা তুলে কথা বলতে পারেন না। বিষয়টি আমার একান্তই নিজ ভাবনা থেকে এসেছে, বেকার যুবসমাজের জন্য কিছু করা যায় কি না। এ কাজের অংশ হিসেবে আমরা প্রথমেই একটি নির্দিষ্টি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ইউনিয়ন, ইলাইল ইউনিয়নে ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন’ করা হয়েছে। বাকি ইউনিয়নগুলোতে কাজ চলছে। বেকাররা আমাদের সমাজে বোঝা না হয়ে সফল আত্মনির্ভরশীল দক্ষ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন―এটাই আমার ইচ্ছা। বিষয়টি সফল হলে বাকি উপজেলাগুলোতে একইভাবে পুরো মানিকগঞ্জ জেলাকে বেকারমুক্ত করা যাবে। “

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury