এস এম আকরাম হোসেন :
মানিকগঞ্জে ৪র্থ শ্রেণীর এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ওই মাদ্রাসার দারোয়ান আব্দুল জলিল মিয়া (৬৫)-কে আটক করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বেতিলা-মিতরা ইউনিয়নের অরঙ্গবাদ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর থানার ডিউটি অফিসার বিলকিস আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আটক ব্যক্তি-আব্দুল জলিল মিয়ার বাড়ি শরীয়তপুর জেলায়। তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার খাদিজা বিনতে খুয়াইলিদ বালিকা মাদ্রাসায় দারোয়ানের চাকুরি করছিলেন বলে জানান তিনি।
ভুক্তভোগী শিশুর বাবা জানান, ‘তিন-চার দিন আগে শ্লীলতাহানি করে দারোয়ান আব্দুল জলিল মিয়া। তিনি বিষয়টি কাউকে না বলতে ভয়ভীতিও দেখায়। আজ সোমবার দুপুরে এক সহপাঠির মায়ের সাথে কথা বলার সময় বিষয়টি খুলে বলে আমার শিশু মেয়ে। এরপর তার কাছ থেকে আমরা জানতে পারি। ঘটনাটি জানার পার, আমরা মাদ্রাসায় এসে বিস্তারিত শুনে পুলিশকে খবর দেই এবং পুলিশ এসে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
’গত তিন মাসে রাতের বেলায় একা পেয়ে মাদ্রাসার আরও দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে দারোয়ান আব্দুল জলিল মিয়া। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই দুই শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারের সদস্যরাও থানায় এসেছে অভিযোগ করতে।’
মাদরাসার শিক্ষার্থীর আরেক বাবা জানান, মাদরাসা পক্ষ থেকে ঘটনা মিমাংসার জন্য অভিভাবকদের ডাকা হয়।এসময় অভিযুক্ত দারোয়ান নির্যাতনের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চায়। পরে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা শওকাতুল ইসলাম খান দারোয়ান কে ৫০ টি জুতার বাড়ি ও চাকুরচ্যুত করা হবে বললে অভিভাবকরা মেনে না নিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেয়। থানা পুলিশ গিয়ে দারোয়ানকে আটক করে নিয়ে আসে।
ডিউটি অফিসার বিলকিস আক্তার জানান, শ্লীলতাহানির অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়াও আরো দুই শিক্ষার্থীসহ তাদের পরিবারের লোকজনও থানায় এসেছে। আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।