স্টাফ রিপোর্টার: দীর্ঘদিন পর আবারও অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশনের (BNA ) নির্বাচন। আগামী ৩১মে এই বহুল প্রতীক্ষিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই অংশ হিসেবে মানিকগঞ্জে জমে উঠেছে নির্বাচনী উত্তাপ ও প্রচার- প্রচারণা।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ছয়জন প্রার্থী নিয়ে গঠিত দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেল। সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইজন, আর সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন চারজন প্রার্থী। যাচাই-বাছাই পর্ব শেষে ১০ মে ছিল প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এরপর থেকেই পুরোদমে শুরু হয়েছে নির্বাচনী প্রচারণা।
প্রার্থীরা ভোটারদের দিচ্ছেন নানা রকম প্রতিশ্রুতি। কেউ হাসপাতালগুলোর সেবার মান বাড়ানোর আশ্বাস দিচ্ছেন, আবার কেউ নার্সদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও পেশাগত উন্নয়নের ওপর জোর দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যখাতে নার্সদের ভূমিকা আরও কার্যকর ও মর্যাদাপূর্ণ করতে নির্বাচিত হলে নানা ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা।
ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনার পাশাপাশি রয়েছে প্রত্যাশা। নতুন নেতৃত্ব নার্সদের পেশাগত উন্নয়ন ও কল্যাণে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনবে।
বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রার্থী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের নার্সিং কর্মকর্তা মো. শাহিনুর রহমান শাহিন বলেন, বিগত প্রায় ২২ বছর পর আমরা এই নির্বাচনটা পেয়েছি। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সুন্দর স্বাচ্ছন্দভাবে আমাদের নার্সরা আমাদের নেতা নির্বাচিত করবেন। আর সেই নেতা নির্বাচনের মাধ্যমে আমাদের নার্সিংয়ের সংগঠনের নেতৃত্ব আরও এগিয়ে যাবে এবং আমাদের পেশার মান আরও এগিয়ে যাবে। এজন্যই মূলত আমাদের এই নির্বাচন।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আরেক নার্সিং কর্মকর্তা শেফালী আক্তার। তিনিও এই নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী। নির্বাচনের সার্বিক বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি যে অরাজকতা দেখতি পাচ্ছি এখানে মুখ খোলার মত কেউ নাই। কেউ মন খুলে কথা বলতে পারে না। কেউ কোন সুযোগ সুবিধা নিতে গেলে অনেককে খুশি করতে হয়। আমি দাড়াইছি শুধু তাদের পেছনে থাকার জন্য।
মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. জামাল উদ্দিন। তিনি এই নির্বাচনে শেফালী আক্তারের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষ তো নির্বাচনে একটা যুদ্ধের মত সেখানে প্রতিপক্ষ অবশ্যই থাকবে। তো এইখানে যারা আমার প্রতিপক্ষ আছে তারা আমাদেরই প্রফেশনের, আমাদেরই ভাই , আমাদেরই বোন, সবাই আমরা নিজেরাই । প্রত্যেকটা নির্বাচনে কিছু না কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকেই। এই নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট যারা আছে সবাই যেন আমাদের হেল্প করে এটাই প্রত্যাশা।
এছাড়াও শাহিনুর রহমান শাহিনের প্যানেলে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মো. মামুন মিয়া। যিনি মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজের সিনিয়র স্টাফ নার্স হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি দৈনিক আমার নিউজকে জানান, আমি এই নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনার পর থেকে আমার ব্যক্তিগত লাইফ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের নেগেটিভ নিউজ করা হইছে। যেটা করা উচিৎ হয়নাই। আমি ২৯ তারিখ ফরম কিনছি তার পর থেকেই এই নিউজ গুলা শুরু হইছে। আমার সন্দেহ নির্বাচন উপলক্ষেই এটা করা হইছে। আমাকে হেয়প্রতিপন্ন ও নির্বাচনে যাতে আমি না করতে পারি এজন্যই এটা শুরু হইছে। এখানে তো অনলাইন ভোটিং হবে কেন্দ্র থেকে ডিক্লিয়ার আসবে কাউরে জোর করে কিছু করার সুযোগ নাই।
এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মাসুদ রানা ও রওশনা মাহমুদা এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছে।
এদিকে বাকী পদগুলোতেও একাধিক প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে মানিকগঞ্জ জেলার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তানুর সুলতানা , সহকারী রিটার্নিং কর্মকার্তা আনিসুর রহমান ভূইয়া ও পলি রাণী দাস।