প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের সরকারি সফরে রবিবার বিকালে সৌদি আরব পৌঁছেছেন। আজ সোমবার পূর্বাঞ্চলীয় আল জুবাইল প্রদেশে অনুষ্ঠেয় ‘গাল্ফ শিল্ড-১ নামের একটি যৌথ সামরিক মহড়ার কুচকাওয়াজ ও সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। সৌদি বাদশাহ ও দু’টি পবিত্র মসজিদের হেফাজতকারী সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের আমন্ত্রণে তিনি ওই অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। প্রধানমন্ত্রী এবং তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট স্থানীয় সময় ৭টা ৩৫ মিনিটে দাম্মাম বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ এবং দূতাবাসের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। গাল্ফ শিল্ড-১-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে (সিএইচওজিএম) যোগদানের জন্য আজ বিকালে একটি বিশেষ ফ্লাইটযোগে লন্ডনের উদ্দেশ্যে দাম্মাম ত্যাগ করবেন। ওইদিন রাতেই লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফ্লাইটটির অবতরণের কথা রয়েছে। এরআগে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে রবিবার বিকালে ঢাকা ত্যাগ করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৭ এপ্রিল সকালে ওয়েস্ট মিনিস্টারের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠেয় কমনওয়েলথ নারী ফোরামের ‘এডুকেট টু এম্পাওয়ার মেকিং ইকুইটেবল অ্যান্ড কোয়ালিটি প্রাইমারী এডুকেশন অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন এ রিয়েলিটি ফর গার্লস অ্যাক্রস দ্য কমনওয়েলথ’ শীর্ষক অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী ওইদিন বিকালে যুক্তরাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক বৈদেশিক উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (ওডিআই) আয়োজিত এক উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। তিনি ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি নীতি, অগ্রগতি ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। ১৮ এপ্রিল শেখ হাসিনা এশীয় নেতাদের ‘ক্যান এশিয়া কিপ গ্রোইং’ রাউন্ডটেবিলে অংশ নেবেন। বিকালে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠান ও পরে নৈশভোজে যোগ দেবেন। ১৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকের (সিএইচওজিএম) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ও অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন। শেখ হাসিনা কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসির দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। তিনি সরকার প্রধান ও তাদের স্বামী-স্ত্রীদের সম্মানে বাকিংহাম প্যালেসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের দেওয়া সংবর্ধনা ও নৈশভোজে যোগদান করবেন। ২০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী তিনটি ‘রিট্রিট সেশন’ ও শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী কার্যনির্বাহী অধিবেশনে অংশ নেবেন। ২১ এপ্রিল তিনি রয়েল কমনওয়েলথ সোসাইটি (আরসিএস) আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী সরকার প্রধানদের জন্য সংবর্ধনা এবং রাণীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন। একই দিনে প্রধানমন্ত্রী এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। এছাড়া, শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকার প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২৩ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।