স্টাফ রিপোর্টার : ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগে বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত হন ডিআইজি মিজান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। প্রণব কুমার বলেন, মিজানের বিরুদ্ধে নামে-বেনামে শত কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য গত ১০ ফেব্রুয়ারি দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারীকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করে দুদক। তিনি বলেন, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদবির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। চাকরি জীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট। গেলো ২৫ এপ্রিল ডিআইজি মিজানুর রহমানকে আগামী ৩ মে সকালে দুদকের সেগুনবাগিচার প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি সেদিন দুদক থেকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর পাঠানো হয়। ওই চিঠিতে মিজানুরকে যথাসময়ে দুদক কার্যালয়ে হাজির হওয়ার ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইজিপি বরাবর অনুরোধ জানানো হয়েছে। মিজানুরের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন দুদকের উপপরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। এছাড়া ডিআইজি মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে এক নারীকে অস্ত্রের মুখে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগও রয়েছে। ডিআইজি মিজানুর ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। নানা অভিযোগে গত জানুয়ারিতে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করেছে পুলিশ। |