বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক :প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথার বিলুপ্তির প্রজ্ঞাপন চেয়ে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে থেকে একটি বিক্ষেভ মিছিল শুরু হয়। মিছিল থেকে ‘আর নয় কালক্ষেপন দিতে হবে প্রজ্ঞাপন’, ‘হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নেই’, ‘কোটা দিয়ে কামলা নয় মেধা দিয়ে আমলা চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ক্লাস-পরীক্ষা হচ্ছে না বলে জানা গেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর কয়েক দফায় আল্টিমেটাম শেষে গতকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেয় কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওঠা প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এরইমধ্যে সকালে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শাটল ট্রেন অবরোধ করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। সেখানে আন্দোলনের বিষয়ে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ চবি শাখার প্রধান সমন্বয়ক আরজু চৌধুরী বলেন, প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস বর্জন অব্যাহত রাখব। এ ছাড়া নোয়াখালী, কুমিল্লা থেকেও আন্দোলনের খবর পাওয়া গেছে। গত ৮ এপ্রিল থেকে টানা পাঁচ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। ১২ এপ্রিল জাতীয় সংসদের অধিবেশনে কোটা পদ্ধতি বাতিল ঘোষণা করে সব চাকরিতে শতভাগ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সোমবার বেলা ১১টা পর্যন্ত এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়নি। এই প্রজ্ঞাপনের দাবিতেই এখন আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ ১০ মে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খান জানান, কোটা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠনের প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পাঠানো হয়েছে।