জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত এক শিক্ষার্থীকে শারিরীকভাবে নির্যাতন ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। আজ রোববার মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে চারুকলা বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খালিদ মাহমুদ তন্ময়। সে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ জাবি শাখার সদস্য সচিব। আর অভিযুক্ত সাগর সিদ্দিকী একই হলের ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। অভিযোগপত্রে তন্ময় বলেন, গতকাল শনিবার রাত ১টার দিকে সাগরসহ হলের ৪-৫জন ছাত্রলীগকর্মী আমাকে হলের গেস্ট রুমে ডেকে নিয়ে যায় । এ সময় তারা আমাকে শিবিরের সাথে সম্পৃক্ততার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করে। আমি সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করলে তারা আমার ব্যবহৃত মোবাইলটি নিয়ে নেয়। মোবাইল রেকর্ডিং চালু থাকার কারণে তারা মোবাইলটি বন্ধ করে তাদের কাছে রেখে দিয়ে আমাকে ধাক্কা দিতে থাকে। এরপর তারা আমার বিরুদ্ধে শিবিরের লিফলেট বিতরনের অভিযোগ আনে। আমি তাদের কাছে প্রমাণ চাইলে তারা মারধর শুরু করে। কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম দিক থেকে অভিযুক্তরা এ রকম হুমকি দিয়ে আসছিলো বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন তিনি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সাগর সিদ্দিকী বলেন, তাকে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়নি। শিবিরের সাথে তার সংশ্লিষ্টতার খবর জানতে পেরে আমরা হলের বন্ধুরা তার সাথে কথা বলি। এ সময় তার মোবাইল ফোন হাতে নিয়ে দেখি রেকর্ডিং চালু করা আছে। রেকর্ডিং চালু থাকায় আমরা তার মোবাইলটি রেখে দিই। এছাড়া সেখানে আর কোন কিছু ঘটেনি। অভিযুক্ত সাগর সিদ্দিকী জাবি ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানার অনুসারী। এ বিষয়ে মো. জুয়েল রানা মানবজমিনকে বলেন, ওই ছেলেটির আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাকে জিজ্ঞসাবাদ করা হয়েছে। এ সময় তার সাথে জিজ্ঞাসাবাদকারীরা হালকা ধাক্কাধাক্কি করেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক বলেন, অফিসে এরকম একটি অভিযোগপত্র জমা দেয়ার ব্যাপারে জেনেছি। উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।