1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
মানিকগঞ্জে নবগঠিত কমিটি শহিদ জিয়া পরিষদে আনন্দ মিছিল ও শুভেচ্ছা বিনিময় মানিকগঞ্জে প্রবাসী ও যুবসমাজের অর্থায়নে কাঁচারাস্তা সংস্কার মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আপেলে খোয়া যাওয়া আগ্নেয়াস্ত্র শর্টগান উদ্ধার মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে এক পরিবারে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন, চরম ভোগান্তিতে পরিবারটি বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে দুই উপজেলায় মানববন্ধন মানিকগঞ্জে ১০ম গ্রেড ও শতভাগ  পদোন্নতির দাবি সহকারী শিক্ষকদের মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের আহবায়ক কমিটি গঠিত, আহবায়ক জাহাঙ্গীর, সদস্য-সচিব শাহানুর পাঁচ দেশের রাষ্ট্রদূতকে ঢাকায় ফেরার নির্দেশ কাজে সফল হওয়ার জাপানি নীতি ৫ দিনে জুনিয়র এনটিআর-জাহ্নবীর সিনেমার আয় ৩৮১ কোটি টাকা

কীভাবে হাসিখুশি থাকবেন?

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮
  • ১১৩৩ বার দেখা হয়েছে

অধুনা প্রতিবেদক : হাসিখুশি মুখ দেখলেই মনটা ভালো হয়ে যায়। গম্ভীর ঘরোয়া আড্ডার পরিবেশ বদলে দিতে একজনের উচ্ছ্বসিত হাসিই যথেষ্ট। হাসি দিয়ে শত্রুকেও আপন করা যায়। কিন্তু আপনি চাইলে কি সব সময় হাসিখুশি থাকতে পারবেন? কীভাবে হাসিখুশি থেকে পরিবেশকে আনন্দময় করে তুলবেন, তা-ই তুলে ধরা হলো এখানে।

বেশি বেশি অনুশীলন করুন

চাইলেই কি একজন মানুষ হাসিখুশি থাকতে পারে? যদি উত্তর না হয়, তাহলে হাসিখুশি থাকার উপায় কী। হাসিখুশি থাকার জন্য বেশি করে ভালো থাকার চেষ্টা করতে হবে। আপনি ব্যায়াম করতে পারেন। একটি কঠিন কাজ করার পর নিজের আনন্দের জন্য কিছু সময় হাঁটতে পারেন। এমনভাবে হাঁটার পর আপনার শারীরিক কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে আগের চেয়ে বেশি হাসিখুশিতে পরবর্তী কাজটি শুরু করতে পারবেন।

নিজের কাজকে সেরা ভাবুন

অনেকেই আছেন, নিজের কাজ নিয়ে সন্তুষ্ট নন। সারাক্ষণ নিজের কাজকে ছোট মনে করেন। অন্যের সঙ্গে নিজের কাজের তুলনা করে নিজে নিজে মন খারাপ করেন। এ নিয়ে সব সময় চিন্তার মধ্যে সময় কাটে। এর ফলে হাসিখুশি ভাব মুখ থেকে উধাও হয়ে যায়। নিজের কাজকে শ্রদ্ধা করুন। ভালোবাসুন নিজের কাজকে। নিজের কাজের মাধ্যমে পরিশ্রম করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মনে মনে ভাবুন, আপনি যে কাজটি করছেন, সেটিই সেরা। কাজের মধ্যে আনন্দ খুঁজুন।

নেতিবাচক চিন্তা দূর করুন

নেতিবাচক চিন্তা করলে আপনি ধ্বংস হতে বাধ্য। এ একটি জিনিসই আপনাকে শেষ করে দেবে। নেতিবাচক চিন্তা করে কখনো হাসিখুশি থাকা যায় না। তাই হাসিখুশি থাকতে হলে নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন। অন্যের ভালো করার চেষ্টা করুন। দেখবেন এমনিতেই হাসিখুশি থাকতে পারছেন।

নিজের সম্পত্তির চেয়ে অভিজ্ঞতা বেশি উপভোগ করুন

অভিজ্ঞতা মানুষের জীবনে স্থায়ী সম্পত্তি। অভিজ্ঞতা অন্য কেউ নিয়ে যেতে পারে না। অভিজ্ঞতার ফলে সমাজের সবকিছু মোকাবিলা করারÿ ক্ষমতা আপনার মধ্যে এমনিতেই চলে আসবে। তাই সম্পত্তির পরই অভিজ্ঞতা অর্জনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। সম্পত্তি মনকে চিন্তায় আচ্ছন্ন করবে। আর অভিজ্ঞতা নিজের জীবনকে উপভোগ করার সুযোগ করে দেবে।

আপনি কৃতজ্ঞ কেন, তা লিখুন

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। আপনি কী জন্য সফল, কেন আপনি অন্যের ভালো চান, এ বিষয়গুলো ভাবুন এবং তা লিখে প্রকাশ করুন। ভালো করার বা ভালো থাকার বিষয়গুলো কোথাও লিপিবদ্ধ করে রাখলে শান্তি বোধ করবেন। লেখাগুলো পাঠ করে নিজের মধ্যে সুখ অনুভব করবেন। দেখবেন হাসিখুশি থাকতে পারছেন।

নিজের মধ্যে সুখ খুঁজুন

আপনার কোন কাজটি করতে ভালো লাগে। কোন কাজ করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন বা আপনি কোন কাজগুলো করে আনন্দ পান—এমন কাজগুলোই বেশি করুন এবং নিজের মধ্যে সুখ খুঁজে বের করুন। সব সময় অফিস বা অন্যের সুখের জন্য কাজ না করে, নিজের পছন্দের কাজটিও মাঝেমধ্যে করার চেষ্টা করুন। দেখবেন হাসিখুশি থাকতে পারছেন।

পরিপূর্ণ ঘুমান

ঘুম হলো মানুষের আদি ও আসল বিনোদন। আপনার যদি পরিপূর্ণ ঘুম না হয়, তাহলে আপনি কখনোই আনন্দে থাকতে পারবেন না। আপনার কোনো কাজেই মন বসবে না। সারাক্ষণ ঘুম আপনাকে তাড়িয়ে বেড়াবে। পরিপূর্ণভাবে কোনো কিছুই করতে পারবেন না। তাই যত কাজের মধ্যেই থাকুন না কেন, সময় বের করে পরিপূর্ণ ঘুমান। আপনার ঘুম যদি পরিপূর্ণ হয়, তাহলে যেকোনো কাজ করতে আরাম ও আনন্দ পাবেন।

অন্যকে সাহায্য করুন

পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি আনন্দ অন্যকে সাহায্য করার মধ্যে। আপনার বন্ধু বা পাশের ডেস্কের সহকর্মীকে সাহায্য করুন। দেখবেন তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক আগের চেয়ে অনেক বেশি ভালো হবে। রাস্তায় অসহায় কাউকে কিংবা কোনো রাস্তা খুঁজে না পাওয়া ব্যক্তিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসুন। দেখবেন সাহায্য করার পর নিজের কাছেই খুব ভালো লাগছে। অন্যকে সাহায্য করলে দেখবেন মুখের মধ্যে হাসির আভা ছড়িয়ে পড়েছে। তাই প্রতিদিন অন্যদের সাহায্য করার জন্য একটু সময় বের করুন।

নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন

আপনি যেভাবে বাঁচতে চান, তার ওপর জোর দিন। অন্যের কথায় নিজের পছন্দকে অবহেলা করবেন না। সব সময় অন্যকে খুশি করে চলতে গেলে আপনি নিজে খুশি থাকতে পারবেন না। তাই নিজের পছন্দকে গুরুত্ব দিন। দেখবেন অনেক বেশি হাসিখুশি থাকতে পারবেন।

আপনার শক্তির ওপর দৃষ্টি দিন

আপনার শক্তির জায়গা সম্পর্কে আপনার কোনো ধারণা আছে? যদি না থাকে, তাহলে নিজের শক্তির জায়গা খুঁজে বের করুন এবং সে শক্তিকে ব্যবহার করুন। দেখবেন সবকিছুতেই ভালো করছেন আপনি। সব কাজে সাফল্য পাওয়ার ফলে আপনি থাকতে পারছেন আগের চেয়ে বেশি হাসিখুশি।

সূত্র: লাইফহ্যাক

 

 

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury