1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৫২ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
คาสิโนออนไลน์ที่ดีที่สุดในโคลอมเบีย เว็บไซต์คาสิโนท้องถิ่นของโคลอมเบีย মানিকগঞ্জে তনুশ্রী রায় এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে তিন দিন ব্যাপী তারুণ্য মেলা মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মিটমাট হলো থানায় বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিএনপি’র বিরুদ্ধে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে- আফরোজা খান রিতা Các doanh nghiệp đánh bạc di động lớn nhất Hơn 140 trang web chơi game di động trực tuyến tốt hơn năm 2024 মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ সিংগাইরে সিসিডিবি’র উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

তিনিই মা, তিনিই বাবা: তামিম ইকবাল

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ১৭ মে, ২০১৮
  • ১৩৬৫ বার দেখা হয়েছে

আমার নিউজ ডেক্স: মায়ের কথা শুরুর আগে একটু বলে নিই, আমি আমার বাবার ভীষণ নেওটা ছিলাম। বাবা যখন বেঁচে ছিলেন, আমার সবকিছু তিনিই দেখতেন। ১১-১২ বছর বয়সে বাবাকে হারালাম। বাবা মারা যাওয়ার পর মা একই সঙ্গে দুটি ভূমিকা পালন করলেন। তিনি মা, তিনিই আবার বাবা। ছেলেবেলায় বাবাকে হারানোর পর সব দায়িত্ব মা নিজের কাঁধে তুলে নিলেন।

ক্রিকেটে হাতেখড়ি বাবার হাত ধরেই। তাঁর চলে যাওয়াটা আমার, আমার পরিবারের জন্য বিরাট ধাক্কা। তবু ক্রিকেটার হওয়ার পথে আমাকে থেমে থাকতে হয়নি। মা এগিয়ে এসেছেন, বাবার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। ক্রিকেটে আমার সবকিছু দেখভাল করা, ঠিক সময়ে অনুশীলনে যাচ্ছি কি না, কোনো কিছু দরকার কি না-ক্রিকেটার হতে যা যা প্রয়োজন, মা আমার জন্য সবই করেছেন।

শুরুতেই যেটা বললাম, বাবা যখন মারা গেলেন, তখন অনেক ছোট ছিলাম। ওই সময় তাঁকে কতটা সংগ্রাম করতে হয়েছে বা কতটা কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, সেটি আমাদের কখনো বুঝতে দেননি। বোঝার বয়সও হয়তো আমাদের ছিল না। এসব নিয়ে চিন্তাও করতে হয়নি। আমাদের তিনি সব সময়ই আগলে রেখেছেন পরম মমতায়, শক্ত আবরণে। এখানে শুধু আমার কথা বলব না, ‘আমাদের’ বলতে হবে। আমার বড় ভাই কিংবা ছোট বোনকেও তিনি কোনো অভাব বুঝতে দেননি।

আমি কিংবা আমার বড় ভাই (নাফিস ইকবাল) যখন ক্রিকেট শুরু করি, মা মাঠে হয়তো আসতেন না, তবে আমাদের মানসিকভাবে খুব সমর্থন করতেন। স্কুলের ছুটিতে আমাকে ঢাকায় মামাদের বাসায় পাঠিয়ে দিতেন, যেন আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা পাই, আরও ভালো জায়গায় খেলার সুযোগ পাই। ক্রিকেটের সরঞ্জামাদি কখন কোনটা দরকার, তিনি সব সময় সেটি খেয়াল করেছেন। তাঁর সামর্থ্যের সবটুকু করেছেন।

মা–বাবা, ভাইবোনদের সঙ্গে ছোট তামিম ইকবাল (ডান থেকে দ্বিতীয়)জাতীয় দলে যখন প্রথম সুযোগ পেলাম, স্বাভাবিকভাবেই ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। তবে ক্রিকেট নিয়ে মায়ের সঙ্গে আমার কথাবার্তা খুবই কম হয়। তাঁর উচ্ছ্বাস, হতাশা ওভাবে দেখা হয় না। আমার মনে হয় তিনিও ক্রিকেট নিয়ে আমার সঙ্গে খুব একটা কথা বলতে পছন্দ করেন না। জানেন নিশ্চয়ই, আমাদের পরিবার থেকে তিন টেস্ট ক্রিকেটার (চাচা আকরাম খান, বড় ভাই নাফিস ইকবাল ও আমি) উঠে এসেছে। ক্রিকেটটা বাইরে রেখেই আমরা বাসায় ঢুকি। তবে আমার খেলা মা নিয়মিত দেখেন। মাঠে খুব একটা যান না, বাসায় টিভিতে দেখেন।

মা সব সময় আমাদের ভাইবোনদের পড়াশোনার ওপর বেশি জোর দিতেন। ছেলেবেলায় অতটা বুঝতাম না। ভাবতাম, শুধু খেলব। কিন্তু এখন বুঝি, পড়াশোনার গুরুত্ব কতটা। যতটুকু পড়াশোনা করেছি, সেটি বলতে পারেন মায়ের তাগিদেই।

সব সন্তানেরই তার মায়ের হাতের রান্না ভীষণ ভালো লাগে। আমিও ব্যতিক্রম নই। আমার মায়ের হাতের সব রান্নাই ভালো লাগে। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে আলু-পরোটা। ক্রিকেটের ব্যস্ততার ফাঁকে আমি ঘুরতে পছন্দ করি। অনেক সময় মাকে সঙ্গে নিয়ে যাই বেড়াতে।

বছর তিনেক আগে মাকে নিয়ে একটা টিভি বিজ্ঞাপন করেছিলাম। শুনেছি বিজ্ঞাপনটা অনেককে আবেগতাড়িত করেছে। এটি করতে গিয়ে আমিও অনেক ইমোশনাল হয়ে পড়েছিলাম। তবে আমার চেয়ে বেশি ইমোশনাল হয়েছেন আমার মা। ওই বিজ্ঞাপনের থিম ছিল ‘আমি জিতলে জিতে যায় মা’। বাস্তবেও তা-ই, ক্রিকেটার হিসেবে আমি যখন জিতি, জয় হয় আমার মায়েরই। এটা শুধু আমার নয়, সবার ক্ষেত্রেই সত্য। সন্তানের সাফল্যে সবচেয়ে বেশি খুশি হন মা।

তামিম ইকবাল: ক্রিকেটার, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury