ধামরাই প্রতিনিধি : ধামরাইয়ে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টাকারী হাতকোড়া গ্রামের মজিবুর রহমানের বখাটে ছেলে জাহিদকে আটকের ১৮ ঘন্টার পর দেনদরবার করে সোমবার গভীর রাতে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। এরআগে সোমবার সকালে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ তার কক্ষে স্থানীয় একদল সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন, ‘জাহিদের বিরুদ্ধে যদি কেউ বাদী না হয় তাহলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করা হবে। কোন তদবিরে কাজ হবে না’। তবে ওসি তার কথা রাখতে পারলেন না।
এ বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মাদ রিজাউল হক বলেন, মেয়ের পক্ষে মামলা দিতে রাজী না হওয়ায় জিডি করে জাহিদকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে টাকার বিনিময়ে নয়। ওই ছাত্রী, তার মা ও মামীকে মামলা করার জন্য সোমবার দিনভর অবস্থান করতে দেখা যায় থানায়। ওই সময় নির্যাতিতা সাংবাদিকদের কাছে ঘটনা বিস্তারিত খোলে বলেন। ওইসময় তার মা ও মামী জানায়, ‘গরীবের বিচার নাই। মাতাব্বররা মিমাংসার জন্য চাপ দিচ্ছে’। এসময় বখাটে জাহিদের বাবা ও স্থানীয় ইউপি সদস্য রবিউল ইসলাম ও শাহিনসহ কয়েকজন মাতাব্বরদেরও তববির করতে দেখা যায় থানায়।
মাতাব্বর শাহিন জানায় মেয়ের পক্ষকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। জাহিদকে ছাড়িয়ে নিতে থানায়ও টাকা লাগছে। কত টাকার বিনিময়ে জাহিদকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ তা সঠিক বলতে না পারলেও অনেক টাকা লেগেছে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রায় ৫মাস আগে বিয়ের দাবিতে জাহিদের বাড়ীতে অন্য এক মেয়ে ১০ দিন অবস্থান করে। ওই সময় মেয়েটিকে থানায় নিয়ে আসে এসআই ভজন রায়। ২৪দিন পরে ওই মেয়েকে বিয়ে করে জাহিদ।