স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সুরঞ্জন দাস ওরফে সুজন (৪২) এবং তার কর্মচারী ছানোয়ার হোসেনকে (৩০) ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুজনের স্ত্রী অঞ্জনা রানী দাস ওই সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি জানান, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের পাশে তাদের নিজেদের জুয়েলারি ব্যবসার দোকান রয়েছে। একই এলাকার মৃত সাহেব আলীর ছেলে ছানোয়ার হোসেন ওই দোকানের বেতনভুক্ত কর্মচারী। একই এলাকার মৃত মঙ্গল চন্দ্র দাসের ছেলে অনীল চন্দ্র দাসের (৬৫) সাথে তাদের (সুজনের) জমি সংক্রান্ত দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। ওই বিষয়কে কেন্দ্র করে অনিল চন্দ্র দাস ও তার ছেলে স্বপন চন্দ্র দাস (২৭) প্রায়ই তাদেরকে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে ১৭/০৯/২০১৭ এবং ৫/৭/২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ সদর থানায় নিরাপত্তা চেয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন সুরঞ্জন দাস সুজন। ৫/৭/২০১৮ ইং তারিখে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পর ৭/৭/১৮ তারিখে সরেজমিনে তদন্ত করে সদর থানা পুলিশ। এর পরদিন মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক শামস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ আটিগ্রাম এলাকার ওই জুয়েলারি দোকান থেকে কর্মচারীসহ সুজনকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ১০ পিচ ইয়াবা দিয়ে তাদেরকে মানিকগঞ্জ কোর্টে পাঠানো হয়। বর্তমানে তারা উভয়েই জেলা কারাগারে রয়েছে। দুই ছেলে ও এক মেয়ের জননী অঞ্জনা রানী জানান, তার স্বামী সুজন ও দোকান কর্মচারী ছানোয়ার মাদক সেবন ও বিক্রয়ের সাথে জড়িত নয়। পূর্বে এ বিষয়ে তাদের কারোরই কোন ধরনের মাদকের মামলা নেই। জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন ইয়াবা দিয়ে তার স্বামী ও দোকান কর্মচারীকে ফাঁসিয়ে দিয়ে জমি তাদের দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে বলে দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি আরও বলেন, বড় মেয়ে বিয়ে হওয়ার পর স্বামীর সংসারে রয়েছে। নাবালক দুই ছেলেকে নিয়ে তিনি পশ্চিম আটিগ্রাম এলাকার বাড়িতে বসবাস করেন। স্বামী জেলহাজতে থাকায় ওই ছেলে সন্তান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অঞ্জনা রানী দাসের দেবর মনোরঞ্জন দাস, ভাতিজা শুভ দাস ও ছেলে অভি চন্দ্র দাস উপস্থিত ছিলেন।