মো: আপেল চৌধুরী
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া এক সময়ের খর¯্রােতা গাজীখালী নদী বর্তমানে প্রায় মৃত। উপজেলার বরাইদ ইউনিয়নের গোপালপুর এলাকার ধলেশ্বরী নদী উৎস মুখ হতে শাখা নদী হয়ে গাজীখালী নদী দড়গ্রাম, হরগজ, সাটুরিয়া ইউনিয়ন হইতে গাঙ্গুটিয়া, সুয়াপুর, রোয়াইল, ইউনিয়ন পাড় হয়ে ঢাকার সাভারের বংশী নদীতে পড়েছে। এই নদীকে কেন্দ্র করে এক সময় গোপালপুর, দড়গ্রাম ও সাটুরিয়া নদী বন্দর আশ-পাশের কয়েকটি জেলার সার্বিক ব্যবসা বাণিজ্যে বিগত সময় থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে এসেছে। বর্তমানে এর উৎসমুখে ধলেশ্বরী উজান হতে ঢলে আসা অতিরিক্ত পলি সম্পূর্ণ রুপে পানি চলাচল বন্ধ হওয়ার উপক্রম এবং নদী শুকিয়ে মরুভূমি হওয়ার পথে। এদিকে প্রায় সারা বছর নদী পানি শূন্য থাকার সুযোগে প্রায় ৫০ কি.মি নদী জুড়েই স্থানীয় প্রভাবশালী মহল বিভিন্ন অজুহাতে দখল করে নিয়েছে। দখল জায়গায় কেউ বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন, কোথাও আবার দোকান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে , কেউ নিয়মিত চাষাবাদ করে নদীর অবশিষ্ট চিহ্নটুকু মুছে ফেলেছে। বোঝারই উপায় নেই যে এখানে এককালে খর¯্রােতা নদী ছিল। কয়েকটি জায়গায় হাইট্রলি ও ড্রেজার ব্যবসায়ীরা দখলদারের খেকে মাটি কিনে কেটে বিক্রি করার ফলে সৃষ্ট কতগুলো গর্ত ছারা নদী তীরবর্তী স্থানীয় মানুষদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজেও এর পানি ব্যবহার করতে পারছেন না। মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূএে জানা যায়, ২০১২ সালে গাজীখালী নদীর উৎসমুখ প্রায় ১কি. মি. এলাকা খনন করা হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সিডিউল অনুযায়ী তখন কাজ হয়নি। তাই তখনকার খননে মূলত কোন প্রকার কাজ হয়নি। নদী তীরবর্তী লক্ষ হাজার ভুক্তভোগী মানুষের প্রানের দাবি সরকার জরুরি ভিওিতে গাজীখালী নদী উৎসমুখ সহ প্রয়েজনীয় এলাকার পুনঃখনন করার মাধ্যমে নাব্যতা ঠিক রাখবে। এবং লক্ষাধিক কৃষকের আবাদি জমি উর্বর সহ সাধারন মানুষের জীবন যাত্রার মান পরিবেশ বান্ধব হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।