সটুরিয়া প্রতিনিধি:
সাটুরিয়ায় হালিমা বেগম নামে এক নারীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ইয়াবা ও নারী ব্যাবসায়ী জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। তবে ওই নারী ১০ দিন আগে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। সে রাজমিস্ত্রির যোগালি হিসেবে কাজ করত। এ ঘটনায় আঃ কুদ্দুস নামের এক ব্যাক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের সটুরিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ধনছে ক্ষেতে শনিবার ভোরে স্থানীয় লোকজন একটি লাশ দেখতে পায়। সাটুরিয়া থানা পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। পরে লাশের সাথে থাকা পরনে কাপড় দেখে তার ছেলেরা লাশটি শনাক্ত করে। হালিমার বাড়ি ধামরাইয়ের চারিপাড়া গুচ্ছ গ্রামের মৃত আঃ মান্নানের স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, চারিপাড়া আদর্শ গুচ্ছ গ্রামের দীর্ঘদিন ধরে চলছে ইয়াবা, জুয়া ও নারীর রমরমা দেহ ব্যাবসা। সাটুরিয়া ও ধামরাইয়ের সীমানাবর্তী এলাকা হওয়ায় এখানে তেমন আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা নাই। ফলে এখানে জুয়া, ইয়াবা ও নারী ব্যাবসা দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আর এর সাথে জরিত ছিল হালিমা বেগম। ইয়াবা ও নারী ব্যাবসার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ হওয়ায় গত ১০ দিন আগে হালিমা বেগমকে অপহরণ করে হত্যা করে পেট্রোল দিয়ে লাশ পুড়িয়ে শুকুর আলীর ধনছে ক্ষেতে ফেলে দেয় দুবৃর্ত্তরা। দুই মাস আগে ওই গ্রামে আরেক যুবককে শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে বলে প্রচার করা হয়। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানা পুলিশ আঃ কুদ্দুসকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সাটুরিয়া থানার ওসি মোঃ আমিনুর রহমান জানান, সাটুরিয়া ও ধামরাই ভৌগলিক সীমানার কারণে চারিগ্রাম গুচ্ছ গ্রামে দিন দিন অপরাধ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, সেখানে ইয়াবা ও নারীর দেহ ব্যবসা নিয়ে এ হত্যা কান্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত হালিমার ছেলে আবু হানিফ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে বলে তিনি জানান।