তাবলিগ জামাতের চলমান সংকট নিরসন করার লক্ষ্যে আজ রাজধানীর মিরপুরে হারুণ মোল্লাহ ঈদগাহ মাঠে ওয়াজাহাতি জোড় (স্পষ্টকরণ সভা) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চলে কওমি আলেমদের ডাকা এই সমাবেশ।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক আসলাম ও ঢাকা-১৬ আসনের এমপি ইলিয়াস মোল্লা। দু’জনেই তাবলিগের সমস্যা সমাধানে আলেমদের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন।
এমপি আসলামুল হক আসলাম বলেন, অসুখ হলে রোগী ডাক্তারের কাছে যায়, শিক্ষা নিতে যায় শিক্ষকের কাছে। তেমনি তাবলিগের উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আলেম-ওলামার পরামর্শে আমাদের চলতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমি আমার এলাকার ১শ’ ৪৪টি মসজিদের ইমামদের পরামর্শ নিয়েছি। বিশৃঙ্খলাকারী গ্রুপকে বোঝানোর জন্য ইমামদের পরামর্শ। বলেছি, আপনারা আলেমদের সাথে বসুন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের সরকার কওমি মাদ্রাসা ও আলেমদের পক্ষে। সরকার আলেমদের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করবেন। তাবলিগে বিশৃংখলাকারীদের সঙ্গে সরকারের কোন সম্পর্ক নেই।’
এমপি ইলিয়াস মোল্লাহ বলেন, ‘আমরা আলেমদের সাথে আছি, থাকবো। বৃহত্তর মিরপুরে আলেমদের কথা অনুযায়ী তাবলিগের কাজ চলবে। সরকারও আলেমদের সাথেই আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার জীবনে এই প্রথম এত আলেম-বুজুর্গের সামনে কথা বলছি। এটা আমার সৌভাগ্য। আমি সবসময় আলেমদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করি। আমি ইসলামের বাইরে যাব না, কুরআন ও রাসূলের নীতির বাইরে কোন কাজ করব না। আমরা সবসময় শান্তির পক্ষে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তাবলিগের মূল মারকাজ কাকরাইল মসজিদকে দুই ভাগ করতে দেওয়া যাবে না। আগামী বৃহস্পতিবার থেকে আলেমরা মিরপুরস্থ মারকাজের দায়িত্বে থাকবেন।’
তাবলিগে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে তা প্রতিহত করার ঘোষণাও দিয়েছেন দুই সংসদ সদস্য।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কাকরাইল মারকাজের শুরা সদস্য মাওলানা যুবায়ের আহমদ, আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমি, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী, মুফতি আব্দুল মালেক, মুফতি মনসূরুল হক, মাওলানা মাহফুজুল হক, মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী প্রমুখ।