স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে এক কিশোরকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ৬ টুকরা করে হত্যা ও লাশ গুমের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদন্ড ও ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ শহীদুল আলম ঝিনুক।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে মৃতুদন্ড প্রাপ্ত ৪জন আসামীর মধ্যে ৩জন এবং সাজাপ্রাপ্ত ৩জনের মধ্যে ২জন এবং খালাসপ্রাপ্ত ১জনের উপস্থিতিতে বিচারক এই রায় প্রদান করেন। মৃতুদন্ড প্রাপ্ত আসামীরা হলো-রাকিবুল, সুলতান, সোহেল ও রফিক এবং যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলো- রুবেল, সজীব ও আকিবুল। এই মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়েছে শরীফুলকে। হত্যাকান্ডের পর থেকে সুলতান ও সজীব পলাতক আছে।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০১৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাইরের ধল্লা ইউনিয়নের খাসেরচর গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলামকে তার বাড়ি থেকে মুঠোফোনে ডেকে নিয়ে যায় বাস্তা গ্রামের সুলতানের বাড়িতে। জহিরুল রাতে বাড়ি না ফেরায় তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়। পরের দিন বিষয়টি থানাকে জানালে পুলিশ ওই দিন বিকালে সুলতানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় তল্লাশি করে ওই বাড়ি থেকে পুলিশ জহিরুলের মোবাইলের দুটি সিমকার্ড, হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো অস্ত্র ও মাদকদ্রুব্যসহ বিভিন্ন আলামত উদ্ধার করে।
নিখোঁজের দুই দিন পর ১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে সুলতানের বাড়ি সংলগ্ন প্রবাসী আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ির বাথরুমের সেপটি ট্যাংকির ভিতর থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় জহিরুলের গলা ও হাত-পা বিচ্ছিন্ন ৫ টুকরা লাশ পাওয়া যায়।
নিহতের পিতা শেখ খোকন মিয়া ৮জনকে বাদী করে সিঙ্গাইর থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলার মুল আসামী সুলতানকে গ্রেফতার করতে পারে নি।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে গত ২০১৭ সালে ৪ জুন মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহন করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি মথুর নাথ সরকার, ও আসামী পক্ষে সাইফুল ইসলামসহ ৭ জন।