স্টাফ রিপোর্টার: মানিকগঞ্জে সিংগাইর উপজেলার মাটিকাটা গ্রামে আল্লাদি বেগম নামের এক গৃহবধূ হত্যা মামলায় জহিররুল ইসলামের নামের একজনকে যাবতজ্জীবন ও একই উপজেলার আজিমপুর গ্রামের অসীম নামের এক যুবককে ইয়াবা রাখাসহ বিক্রয়ের দায়ে ১০বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শহিদুল আলম ঝিনুক এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়,২০১৭ সালের ১১আগষ্ট প্রতিদিনের মত ঘুমাতে যায় ভজম আলীর স্ত্রী আল্লাদি বেগম। ওই রাতে মধ্যরাতে একই এলাকার জহিররুল ইসলাম শিদ কেটে ঘরে ডুকে স্বর্ণাংকার নিতে থাকে।এ সময় আল্লাদি তার পরনের গলার চেন নেয়ার সময় টের পায়। এতে জহিরুলকে চিনে ফেলায় আল্লাদিকে গলাটিপে শ^াসরোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরের দিন পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। পরের দিন নিহতের মেয়ে ফুলমালা বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সিংগাইর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। জহিরুল ওই বছরের ১সেপ্টম্বর মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধঁরপাট্টিতে চুরি করা মালামাল বিক্রয় করতে আসলে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশ মালামাল সর্ম্পকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে জহিরুল হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে পুলিশ ওই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। ১৯জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহনের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহিরুলকে যাবতজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০হাজার টাকা অর্থদন্ড,অনাদায়ে আরও ৫বছর কারাদন্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে একই উপজেলার অসীম নামের এক যুবককে পুলিশ ১হাজার পিস ইয়াবাসহ আসামীর নিজ বাড়ি,আজিমপুর থেকে আটক করে। পরে ১৭ সালের ১নভেম্বর ততকালীন ডিবি পুলিশের এস আই সালাউদ্দিন রাসেল বাদি হয়ে মামলা করে এবং ১৭সালের ৩১ডিসেম্বর অসীমকে আসামী করে পুলিশ আদালতে চার্জশীট প্রদান করে। ৫জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহনের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে ১০বছরের কারাদন্ড ও ৩লক্ষ টাকা অর্থদন্ড করেন আদালত।