1. hasanchy52@gmail.com : admin :
  2. amarnews16@gmail.com : Akram Hossain : Akram Hossain
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
คาสิโนออนไลน์ที่ดีที่สุดในโคลอมเบีย เว็บไซต์คาสิโนท้องถิ่นของโคลอมเบีย মানিকগঞ্জে তনুশ্রী রায় এর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল মানিকগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে চলছে তিন দিন ব্যাপী তারুণ্য মেলা মানিকগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মিটমাট হলো থানায় বাংলাদেশ যাত্রা শিল্প উন্নয়ন পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলা কমিটির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন মানিকগঞ্জ জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিএনপি’র বিরুদ্ধে অহেতুক দোষারোপ করা হচ্ছে- আফরোজা খান রিতা Các doanh nghiệp đánh bạc di động lớn nhất Hơn 140 trang web chơi game di động trực tuyến tốt hơn năm 2024 মানিকগঞ্জ খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ সিংগাইরে সিসিডিবি’র উদ্যোগে কম্বল বিতরণ

‘দহন’ নিয়ে বাহাস প্রয়োজন

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ১২৮৪ বার দেখা হয়েছে

‘যাহা মৌলিক গল্প তাহাই বিকল্প ধারা!’ কিংবা ‘নাচ-গান-অ্যাকশন যেসব সিনেমায় আছে সেটাই বাণিজ্যিক ধারা!’–এমন অর্থহীন বাক্য প্রায়শই বলে থাকেন সিনেপাড়ার অনেকেই। অথচ সিনেমা সবসময়ই সত্যিকারের ‘সিনেমা’ হওয়ার আন্দোলনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। যেসব সিনেমাকে আমরা ‘বিকল্প ধারা’ বলে বিবেচনা করে থাকি, লক্ষ করবেন তার মূলশক্তি কিন্তু গল্প, যেখানে বাজার কাটতি নায়ক-নায়িকার উপস্থিতি খুব কমই থাকে। আবার অধিকাংশ ‘বাণিজ্যিক’ সিনেমায় গল্প বলে তেমন কিছু থাকে না, তবে পর্দাজুড়ে নায়ক-নায়িকা-ভিলেনের আস্ফালন থাকে প্রচুর। আর গল্প থাকলেও সেটি অন্য কোনও সিনেমা থেকে ‘কপি’ করা, নয়তো ‘কপিরাইট’ নেওয়া।

এমনই বাস্তবতায় গল্পের শক্তিকে পুঁজি করে ভালো সিনেমা কি তাহলে তৈরি হয়নি বাংলাদেশে? হয়েছে। সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, হুমায়ূন আহমেদ, তারেক মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল, মোরশেদুল ইসলাম, সালাউদ্দিন লাভলু, মোস্তফা সরয়ার ফারুকী, অনিমেষ আইচ, অমিতাভ রেজা, তৌকীর আহমেদ, রুবাইয়াত হোসেন, দীপঙ্কর দীপন, অনম বিশ্বাস- এমন আরও অনেক নির্মাতা রয়েছেন উদাহরণের তালিকায়। ফর্মুলার (নাচ-গান-ফাইট) বাইরে গিয়ে যারা গল্পসমৃদ্ধ সিনেমার মাধ্যমে এক এক করে পালক যুক্ত করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পে। সেলুলয়েডে বলার চেষ্টা করেছেন এই দেশ ও মানুষের নিজস্ব কিছু গল্প। তবে এরমধ্যে ঘাটতিও ছিল কোথাও কোথাও। সেটা অন্য আলাপ।
এত কথার পসরা সাজানোর পেছনে উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্যটা হলো, সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া রায়হান রাফীর পরিচালনায় ‘দহন’ সম্পর্কে বলা। কারণ, এটি একটি মৌলিক গল্পসমৃদ্ধ সিনেমা। আর এই গল্পটা বলা হয়েছে ট্র্যাডিশনাল ব্যবসায়িক ফরমেটে। অর্থাৎ নাচ-গান-অ্যাকশনে ভরপুর সিনেমার মধ্য দিয়ে বলা হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতার গল্প। যেখানে আছে এই সমাজ, নৃশংসতা, কিছু মানুষের জীবন, আছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হিমশিম খাওয়া অসহায়ত্বের বিষয়। তাই ‘দহন’ সিনেমাকে আমরা বাংলাদেশের জন্য একটি ‘মাইলফলক’ সিনেমা হিসেবেও দাঁড় করাতে পারি।

একই নামে বাংলাদেশে এর আগে ১৯৮৬ সালে শেখ নিয়ামত আলীর কাহিনি, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় নির্মিত হয়েছিল একটি ছবি। সেই দহনে ছিল মধ্যবিত্ত শ্রেণির বাস্তবতার সঙ্গে জীবনযুদ্ধ দেখানোর গল্প, যেখানে ফুটে উঠেছে মধ্যবিত্তরা রয়ে যায় জয়-পরাজয়ের ঠিক মাঝখানটাতে।

গল্প আর প্রেক্ষাপট একেবারে আলাদা হলেও পরিচালক রায়হান রাফী তার নতুন ‘দহন’ দিয়ে হাঁটার চেষ্টা করেছেন একটি শ্রেণি সংগ্রামের সিঁড়ি ধরে। যে চিত্রে তিনি হাজির করেন রাজনীতির বীভৎস আঘাত। এবারের ‘দহন’ ২০১৩/২০১৪ সালের রাজনৈতিক বাস্তবতাকে ঘিরে আবর্তিত হয়েছে। ১৯৮৬ সালের সমাজ বাস্তবতার পর ২০১৩/১৪ সালের সমাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বীভৎস ক্ষমতার রাজনীতির সহিংসতা। যার বাইরে কোনও শ্রেণিই বাদ পড়ে না। না নিম্নশ্রেণি, না মধ্যবিত্ত, না উচ্চবিত্ত- সকলেই শিকার হয় ক্ষমতার রাজনীতির আগুনের। সেই চিত্র তুলে ধরতে শতভাগ সফল এবারের ‘দহন’ টিম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়ার মধ্য দিয়ে যেমন সফল ছিল নিয়ামত আলীর ‘দহন’ও।

যাহোক, আসা যাক কেমন হয়েছে ২০১৮ সালে মুক্তি পাওয়া ‘দহন’। কারণ, দেশের স্বার্থেই এই সিনেমার সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে বাহাস প্রয়োজন।

শেয়ার করুন

এ বিভাগের আরও খবর
© All rights reserved © 2014 Amar News
Site Customized By Hasan Chowdhury