স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী, বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত তিনি তার নির্বাচনী এলাকা মানিকগঞ্জ পৌরসভা, সাটুরিয়া ও মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারী-পুরুষের সাথে দেখা করছেন। বক্তব্য রাখছেন জনসভা, পথসভায়।
শনিবার সকালে তিনি জেলা শহরের ৮৮ নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক সমাবেশে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি আয়োজিত এই সমাবেশে তিনি গত ৫ বছরে তার নির্বাচনী এলাকায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন এই উন্নয়নকে চলমান রাখতে দরকার শেখ হাসিনার সরকার। আর, শেখ হাসিনার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হলে সকলকে নৌকায় ভোট দিতে হবে। বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু বকর সিদ্দিক খান তুষারের সভাপতিত্বে এই সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আফম সুলতানুল আজম খান আপেল, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, জেলা যুবলীগের সভাপতি ও মানিকগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রীজের সভাপতি সুদেব সাহা, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক লক্ষী চ্যাটার্জী প্রমুখ। এই সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন খান বাহাদুর আওলাদ হোসেন খান কলেজের অধ্যক্ষ হোসনে আরা বেগম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবিএম হেলাল উদ্দিন, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পুলক, জেলা স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতি লিয়াকত হোসেন ভান্ডারী, মানিকগঞ্জ পৌরসভার কাউন্সিলার সুভাস সরকার, সাবেক কাউন্সিলার খবির চৌধুরী, মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোনায়েম খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক রুবেলসহ আওয়ামীলীগ ও এর সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, জাহিদ মালেক স্বপন প্রয়াত মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্ণেল মালেকের পুত্র। তিনি ২০০১ সালে বিএনপি প্রার্থী হারুণার রশীদ খান মুন্নুর কাছে পরাজিত হন। ২০০৮ সালে নির্বাচনে তিনি হারুণার রশীদ খান মুন্নুকে পরাজিত করে তিনি সংসদ সদস্য হন। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। এবারও তাকে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।
এই আসনে ঐক্য ফ্রন্টের পক্ষ থেকে গনফোরামের নির্বাহী সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম খান কামাল উদীয়মান সূর্য প্রতীকে, মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব জহিরুল আলম রুবেল লাঙ্গল প্রতীকে, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির রফিকুল ইসলাম অভি কোদাল প্রতীতক এবং ইসলামী শাসন আন্দোলনের প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন হাত পাখা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
উল্লেখ্য, হাইকোর্টের আদেশে ঋণখেরাপীর দায়ে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জেলা বিএনপি’র সভাপতি আফরোজা খান রিতার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। মানিকগঞ্জ পৌরসভা, মানিকগঞ্জ সদর ও সাটুরিয়া উপজেলা নিয়ে গঠিত মানিকগঞ্জ-৩ আসনের মোট ভোট ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০৭।