মো: আকতার হোসেন
মানিকগঞ্জ-১ আসনে আদালতের রায়ে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে জেলা বিএনপির সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। হাইকোর্টেও চেম্বার জজ আদালত বিএনপি প্রার্থী এসএ জিন্নাহ কবিরের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয়ায় প্রার্থিতা হারান তিনি। একই সঙ্গে আদালত খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দিতে ইসিকে আদেশ দেন। এদিকে গতকাল নাশকতার মামলায় মানিকগঞ্জ আদালতে হাজির হয়ে জামিন অবেদন করেন জিন্নাহ কবির। কিন্তু আদালত শুনানি শেষে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-১ আসনে কৌশলগত কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে তিনজনকে মনোনয়ন দেয়া হয়। অন্য প্রার্থী হলেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক তোজাম্মেল হক তোজা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা সংসদ সদস্য পদে নির্বাচন করতে পারবেন না মর্মে হাইকোর্টের এ আদেশে বাতিল হয় তোজাম্মেল হক তোজার মনোনয়ন। চূড়ান্ত মনোনয়নের দৌড়ে থেকে যান এসএ জিন্নাহ কবির ও অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে ওই দুজনকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলে বৈধ প্রার্থী হিসেবে এসএ জিন্নাহ কবিরকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং অফিসার। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ও নিজেকে বৈধ প্রার্থী দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। আদালত তার পক্ষে রায় দেন এবং নির্বাচন কমিশনকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আদেশ দেন। এদিকে হাইকোর্টের দেয়া ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন এসএ কবির জিন্নাহ। গতকাল সকালে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালত আগের দেয়া আদেশ বহাল রাখেন। এতে মানিকগঞ্জ-১ আসনে অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর মনোনয়ন বৈধ এবং ধানের শীষ প্রতীক পান। এদিকে নাশকতা মামলায় মনোনয়ন থেকে বাদ পড়া প্রার্থী এস এ জিন্নাহর কবির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান।