নোয়াখালী সংবাদদাতা : নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে দেখতে গিয়ে আলোচিত মডেল-অভিনেতা হিরো আলম বলেছেন, ‘নির্বাচনের দিন আমাকেও মারধর করা হয়েছে। আমার বিচার পরে, আগে আমার এই বোনের অপরাধীদের বিচার করেন।’ আজ শনিবার ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকেকে দেখতে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যান হিরো আলম।
এ সময় হিরো আলম বলেন, গরীবই গরীবের দুঃখ বোঝে। তাই আমি ছুটে আসছি। আমি নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। তাদের ফাঁসি হোক, এমন ঘটনা যেন আর না ঘটে। গত রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে স্বামীকে মারধর ও চার সন্তানকে বেঁধে রেখে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। পরে এই ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে নয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূর অভিযোগ, নির্বাচনে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় তাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। চর জুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমীনের নেতৃত্বে এই কাজ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই গৃহবধূ বলেন, ‘তারা আমাকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য জোর করেছিল, কিন্তু আমি তাদের কথা না শুনে ধানের শীষে ভোট দিয়েছি।
তবে ধর্ষণের অভিযোগটি নিশ্চিত করলেও এটি নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ঘটনা নয় বলে দাবি করেছেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াস শরীফ। এরই মধ্যে ধর্ষণের ওই ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি দুজনকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী এখনও সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এরই মধ্যে রুহুল আমীনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।