মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য জাহিদ মালেক স্বপন মহাজোট সরকারের গত মেয়াদে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি হলেন একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণাঙ্গমন্ত্রী। এর মধ্যে দিয়ে ১৮ বছর পর পূর্ণাঙ্গমন্ত্রী পেলেন মানিকগঞ্জবাসী। বিএনপি সরকারের সময় ২০০১ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শামছুল ইসলাম খান নয়া মিয়া শিল্পমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। একই সময়ে মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য হারুনার রশিদ খান মুন্নু ছিলেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী। জাহিদ মালেক স্বপন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় তার নির্বাচনী এলাকাসহ পুরো মানিকগঞ্জে খুশির জোয়ার বইছে। টেলিভিশনে নাম ঘোষণার পরপরই আনন্দ মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের চান্দইর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫৯ সালের ১১ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন জাহিদ মালেক। তার বাবা মরহুম কর্নেল (অবঃ) আব্দুল মালেক ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। এরশাদ সরকারের আমলে মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন তিনি। তার মায়ের নাম ফৌজিয়া মালেক। জাহিদ মালেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। রাজনীতির পাশাপাশি বিভিন্ন সমাজ কল্যাণ কাজের সঙ্গেও প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। তিনি ঢাকাসহ মানিকগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, সমাজ উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছেন। তিনি দেশের একজন স্বনামধন্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী।
ইতিপূর্বে ১৯৮৪ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম লি. সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লি., বিডি থাইফুড অ্যান্ড বেভারেজ লি., রাহাত রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লি., বিডি সানলাইফ ব্রোকারেজ হাউজ লি. এর চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন। তিন সন্তানের জনক জাহিদ মালেক এর সহধর্মীনির নাম মিসেস শাবানা মালেক। স্ত্রীসহ সন্তানরা তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন।
জাহিদ মালেক ২০০১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মানিকগঞ্জ-৩ আসনে প্রথম বারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন। কিন্তু বিএনপি প্রার্থী হারুনার রশিদ খান মুন্নুর কাছে হেরে যান তিনি। তবে ২০০৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে হারুনার রশিদ খান মুন্নুকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তার সময়ে মানিকগঞ্জে কর্নেল মালেক মেডিকেল কলেজ, ১০০ শয্যার সদর হাসপাতাল ২৫০ শয্যায় উন্নীত, সরকারি নার্সিং টেনিং ইনস্টিটিউট, টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।