মোঃ সাইফুল ইসলাম: মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলার সর্বত্রই আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ভাল দাম পেঁয়ে কৃষকের চোখেমুখে হাসির ছিলিক দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন হাট বাজারগুলোতে নতুন আলু বিক্রির শুরুতেই বাড়তি দাম পেয়ে কৃষকদের মাঝে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। মানিকগঞ্জ সদর, ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, সিংগাইর,সাটুরিয়া হাজার হাজার কৃষক আলু চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়ে গেছে। গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে আলু চাষের সাথে জড়িত হাজার- হাজার কৃষক। মানিকগঞ্জের ঘিওর, সিংগাইর ও সাটুরিয়া হাটও বাজারে প্রচুর আলু কেনা বেচা হয়। এসব হাট বাজার থেকে আলু ঢাকার কাওরান বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করা হয়। ৭টি উপজেলায় আলু চাষাবাদের জন্য খুবই উপযোগি। পরিবেশ অনুকুলে থাকায় এ বছর আলু আবাদ হয়েছে। কিন্তু বিগত বছরগুলোতে আলু আবাদে সার, বীজ, কীটনাশক,সেচ, ও শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির ফলে উৎপাদিত খরচ বৃদ্ধি সেই সাথে উৎপাদিত আলু বাজারে ভালো দাম না পাওয়ায় সাধারন কৃষক আলুর আবাদ কমিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ২ বছর যাবৎ আলুর দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকদের আলু চাষের আগ্রহ বেড়ে যায়। ঘিওর উপজেলার বাটরাকান্দি গ্রামের আব্দুর রেজ্জাক মিয়া জানান, তিনি এ বছর ৬বিঘা জমিতে আলু রপন করেছে। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে প্রায় ২লাখ টাকা। আলু উৎপাদন হয়েছে প্রায় সারে ৪শ’মন। বিক্রয় হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা। তিন মাসে প্রায় ১ লাখ টাকা আলু বিক্রয় করে আয় করেন। তবে ডায়মন্ড আলুর আবাদ ও ফলন তুলনামূলক বেশী হয়। এছাড়া, এলগা, মুলটা,কার্ডিনাল, মালতা, গ্যানোলা ও প্যোট্রোনাছ,বিনেলা জাতের আলু রোপন করা হয়। মাটিতে জো আসার সাথে সাথে আলু বীজ রোপন করা হয়। অল্প দিনেই চারাগাছ জালিয়ে যায়। নিরানী দিয়ে আগাছা দমন, সার , কীটনাশক দিতে হয়। অগ্রহায়ন,পৌষ ও মাঘ এই তিন মাস আলু চাষের সব চেয়ে ভাল সময় বলে তিনি জানান। তবে অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় শীতকালীন সবজি চাষে অধিকাংশ কৃষক এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান জানান, চলতি মৌসুমে জেলাতে প্রায় ৪ হাজার ৪শ’ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর আলুর আবাদ ভালো হয়েছে।