বয়স ১০ হলেই নিবন্ধনের আওতায় এনে অস্থায়ী জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়ার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
চলতি বছর থেকেই এ কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে শূন্য থেকে সব বয়সীদের অস্থায়ী এনআইডি দেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটির।
ইসি সূত্রের খবর, এই প্রকল্পের জন্য ইসি সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। আই রিচ ও দশ আঙুলের ছাপ দেয়ার মেশিন সব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসেই রয়েছে। বেশিরভাগ ছেলেমেয়েই লেখাপড়া করে। তাই বাড়ি বাড়ি না গিয়ে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিবন্ধন ফরম পাঠানো হবে। সেখানে শিক্ষকরা পূরণ করে দিবেন। আর যারা পড়াশুনা করে না, তাদের নির্দিষ্ট দিন-তারিখ ঠিক করে উপজেলা/থানা নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিবন্ধন করানো হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০১০ এর ৫(২) অনুযায়ী, ভোটার নয়, এমন নাগরিকদের নির্ধারিত পদ্ধতি ও শর্ত সাপেক্ষে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে পারবে কমিশন। এ হিসাবে সব বয়সীদের নিবন্ধন তথ্য সংগ্রহ ও তাদের কার্ড দেয়া কমিশনের এখতিয়ার।
এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম-সচিব ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেসন্স) মো. আবদুল বাতেন পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ১০ বছর থেকে ১৮ বছরের কম বয়সীদের নিবন্ধনের আওতায় এনে এ বছর অস্থায়ী লেমিনেটেড জাতীয় পরিচয়পত্র দেয়া হবে। এরা ১৮ পূর্ণ করলে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হবেন। তখন তাদের স্মার্টকার্ড দেয়া হবে।
তিনি জানান, অনেক সময় স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের নাম ও বয়স এনআইডিতে দেয়া নাম ও বয়সের সঙ্গে মেলে না। এনআইডি না থাকায় সমস্যায় পড়েন। এসব বিষয় মাথায় রেখে ইসি এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
২০১৭ সালে প্রথমে ১৪ বছর বয়সীদের তথ্য নেয়ার কথা ভেবেছিল নির্বাচন কমিশন। তখন ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ পূর্ণ হবে, তাদের তথ্য সংগ্রহ করার কথা ছিল।
যদিও একাদশ সংসদ নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে বিতর্ক এড়াতে ২০১৮ সালে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করেনি ইসি।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর ২০১৫ সালের ২৫ জুলাই থেকে প্রথমবারের মতো ১৮ বছরের কম বয়সীদের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এই হিসাবে, তখন যাদের জন্ম ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে, এ ধরনের ১৫ বছর বয়সী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করেছিল ইসি।
বর্তমানে দেশে ১০ কোটি ৪২ লাখের মতো ভোটার রয়েছেন।