স্টাফ রিপোর্টার
মানিকগঞ্জে দুই দিন আটকে রেখে এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গঠিত দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ বলে কোন ছাড় দেয়া হবে না। সোমবার বেলা আড়াইটায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম।
তিনি আরো বলেন, এই ঘটনা তদন্তে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা হলেন মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজুর রহমান ও ডিএসবির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার হামিদুর রহমান সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। তারা ইতমধ্যেই ওই তরুণী এবং এর সাথে জড়িতদের সাথে কথা বলেছেন। তদন্তে প্রযুক্তির ব্যবহার নেয়া হচ্ছে। অপরাধ করলে কোনভাবে ছাড় পাওয়ার সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় এক তরুণীকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন ও এএসআই মাজহারুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী তরুণী জানান, সাটুরিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সেকেন্দার হোসেন তার খালার কাছ থেকে ৫ বছর আগে এক লাখ টাকা নেন। তাকে লাভসহ ফেরত দেয়া হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চেয়েও টাকা পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই পাওনা টাকা আনতে বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে খালার সাথে সাটুরিয়া থানায় যান তিনি। সেখানে সেকেন্দার হোসেনের সাথে দেখা হলে তিনি দুইজনকে নিয়ে সাটুরিয়া ডাক বাংলোতে যান। কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হন একই থানার আরেক এএসআই মাজহারুল ইসলাম।
কিছক্ষণ পর তাকে ও তার খালাকে আলাদা ঘরে নিয়ে আটকে রাখেন পুলিশের ওই দুই কর্মকর্তা। এক পর্যায়ে ওই তরুণীকে অস্ত্রের মুখে ইয়াবা সেবনে বাধ্য করা হয়। পরে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আটকে রেখে তাদের দুই জনকে ডাকবাংলো থেকে বের করে দেয় তারা।
রবিবার দুপুরে ওই তরুণী মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিকভাবে অভিযুক্ত দুই কর্মকর্তাকে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার।