স্টাফ রিপোর্টার :
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় বৈশাখী মেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৭/৮ জন। এর মধ্যে গুরুত্বর হয়ে ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাধাকান্তপুর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে মো: আরিফ মিয়া (৩৩), আজগর আলীর ছেলে ফজর আলী (২৫), আব্দুল আলীমের ছেলে শাকিল (২৪) ও কালাচাঁদপুর গ্রামের জেলালের ছেলে আমিনুর (২৩)। গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে কায়েম তারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত আরিফ ও প্রত্যেক্ষ্যদর্শীরা জানান, গত ১৫ ও ১৬ এপ্রিল রাধাকান্তপুর ফাইভ স্টার স্পোর্টি ক্লাবের উদ্যোগে ঘিওর ক্লাব মাঠ প্রাঙ্গনে বাংলা বর্ষবরন উপলক্ষে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় প্রধান অতিথি ছিলেন মানিকগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য এ.এম নাঈমুর রহমান দুর্জয়। মেলার ২য় দিনে মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে মঞ্চে নাচের শিল্পীরা নাচ পরিবেশন করতে ছিল। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি শামীমের ছেলে খালেদ এর নেতৃত্বে মাইলাগী গ্রামের মামুন মল্লিক, আহাদ, জিসানসহ কয়েকজন যুবক মঞ্চের উপরে ্উঠে নাচের মেয়েকে ধরে নিয়ে যেতে চায়। এসময় স্থানীয়রা বাধা দিলে সকলকে দেখে নেওয়ার হুমকী দিয়ে স্থান ত্যাগ করেন। এর এক ঘন্টা পর আবারোও তারা ১০/১২ যুবককে সাথে নিয়ে মেলায় আসে। এসময় কাউকে না পেয়ে মেলার স্টলের দোকানদার আকাশকে মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনার জের ধরে পরেরদিন বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মামুন,আহাদ, জিসানসহ ১৫/১২ জন ব্যক্তি দা, রড, ও বাশের লাঠি নিয়ে কায়েমতারা গ্রামের কয়েকজনের বাড়িতে হামলা চালায়। এতে আরিফ,ফজর আলী, আমিনুর ও শাকিলসহ ৭/৮জন ব্যাক্তির মাথায়, শরীরে, হাতে, পায়ে গুরুত্বর জখম হয়ে চিৎকার করলে স্থানীয় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ হামলায় স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়ির আসবারপত্রসহ চেয়ারও ভাংচুর করে পালিয়ে যায়।
বৈশাখী মেলা কমিটির সদস্য সচিব ও স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হাজী মো: সাইফুল ইসলাম জানান, মারামারির ঘটনাটি খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ ঘটনায় জরিতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।
ঘিওর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: রবিউল ইসলাম বলেন, মারামারি ঘটনার কেউ কোন লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।