মোঃ ইমন হোসেন, হরিরামপুর থেকে :
যদিও বাংলায় এখন বৈশাখ মাস তবু কি ভয়ংকর পরিবেশ প্রমত্তা পদ্মা নদীতে। বিকেল ৫ নাগাদ যখন উপস্থিত হই রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীর সামনে সত্যি তখনই বুকটা কেপে উঠে। কি ভয়ংকর পরিবেশ সেখানে, জোয়ার আসার শুরুতেই এমন ভাঙন যেন মরার উপর খরা। স্থানীয় এক চাচা মাথায় হাত দিয়ে ভাঙার পাশেই বসে আছে।পরিচয় দিলাম আমি প্রেসের লোক চাচা, আপনি আমাকে এই ভাঙন নিয়ে কিছু বলুন, কাকা দীর্ঘ একটা শ্বাস নিয়ে ‘ কি আর কমু চাচা, সবই কপাল চাচা। হাত দিয়ে প্রায় ৩০০ হাত দূরে পদ্মা নদীতে ইশারা করে বললো ওই যে কাকা দেখা যায় না ওনে আমার দোকান ছিলো মানে বাদরপুর বাজারে আর এহন দেহো কি আছে বাজারটা পুরোটাই শেষ এইটুকুন বাকি আছে, ইয়াও যাইবো ১/২ দিনের মাঝে। আমি জিজ্ঞেস করলাম চেয়ারম্যান বা প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে?? উনার উত্তরটা ছিলো ” কাকা ওনারা এইখানে কখনোই আসে নাই আমরা অনেকবার গেছি কোন লাভ হয় না, খালি কয় বেরিবাধ বাড়ানো হবে” আর ১০০ হাত ভাঙলে স্কুলটাই ভেঙে যাবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম এতো ভাঙার কারনটা কি কাকা?? ‘উনি বললো ” আসলে বেরিবাধ টা এইদিকে আসেই নাই তার উপর বালুখোর (অবৈধ ড্রেজার) চালাইয়া সব শেষ কইরা দিলো ”কাকা ইফতার কইরা যাইয়ো” আমি বললাম আজ না কাকা ইনশাআল্লাহ পরে একদিন। সবশেষে এটা বলা যায়, এভাবে তিলে তিলে প্রমত্তা পদ্মার বুকে খুব দ্রুতই বিলীন হয়ে হয়ে যাচ্ছে হাজারো মানুষের ভালোবাসার প্রিয় বসতভিটা। ##