বাংলাদেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রবক্তা তিনি। তিনিই প্রথম এদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা চালু করেন। তাই মিডিয়াঙ্গনে ড. মাহফুজুর রহমান সর্বজন শ্রদ্ধেয়।
তবে বিভিন্ন সময় নানা রকম মন্তব্যের জন্য সমালোচনা ও বিতর্কেরও জন্ম দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৬ সালের কোরবানি ঈদে গায়ক হিসেবে হাজির হয়ে হৈ চৈ ফেলে দেন সারাদেশে। হাট, ঘাট, মাঠ, সর্বত্রই ছিলো মাহফুজুর রহমানকে নিয়ে আলোচনা।
১০টি গান নিয়ে তার একক সংগীতানুষ্ঠানটি সেই ঈদের সবেচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের স্থান দখল করে নেয়। সেই শুরু, এখনো গান করছেন মাহফুজুর রহমান। তার বেসুরো গায়কী নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্ক চললেও দমে যাননি তিনি। গান করে চলেছেন নিয়মিতভাবেই।
ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার পাশাপাশি অনেকে মাহফুজুর রহমানের গান পছন্দও করছেন। সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তাদের মতে, বর্তমানে অনেক শিল্পীই গানের কিছু্ না জেনে-বোঝেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যায় করপোরেট সমর্থন পেয়ে। সেখানে একজন চ্যানেল মালিক ও সংগীতানুরাগী হিসেবে মাহফুজুর রহমানের গান করা অনেক বেশিই যৌক্তিক ও আনন্দের।
২০১৬ সালের কোরবানি ঈদের ‘হৃদয় ছুঁয়ে যায়’ শিরোনামের অনুষ্ঠানের পর পরবর্তী বছর রোজার ঈদে প্রচার হয়েছে ‘প্রিয়ারে’ এবং কোরবানি ঈদে প্রচার হয়েছে তার একক সংগীতানুষ্ঠান ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’। গত বছর প্রচার হয়েছে ‘মনে পড়ে তোমায়’ এবং কোরবানি ঈদে ‘বলোনা তুমি কার’।
সেই ধারাবাহিকতায় আসছে রোজার ঈদেও প্রস্তুত মাহফুজুর রহমান। এবারে তিনি ১০টি গান গাইবেন ‘মন থেকে রইলো শুভ কামনা’ নামের একক সংগীতানুষ্ঠানে। গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। গানের কথা লিখেছেন প্রদীপ সাহা, শেখ রেজা শানু, মোহাম্ম ইকবাল হোসেন, নাজমা মোহাম্মদ এবং রাজেশ ঘোষ।
মাহফুজুর রহমানের গাওয়া গানগুলো হলো- ভুলে গেলে তুমি, মনের কারাগারে, শত চেষ্টাতেও, যে ক্ষতি, দেখছি যতই, আমার পৃথিবী, ফিরে এসো, চাঁদ মুখ, কোথায় হারালে এবং তুমি এক পা বাড়ালে।
এটিএন বাংলা সূত্র জানিয়েছে, ড. মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান ‘মন থেকে রইলো শুভ কামনা’ ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে।