সিটিস্ক্যানের ফলাফল দেখে ফুসফুসের ক্যানসার নির্ণয়ে চিকিৎসকের চেয়ে কম্পিউটার বেশি পারদর্শী। গুগল এবং বেশ কিছু চিকিৎসাকেন্দ্রের গবেষকদের প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে। প্রযুক্তিটি এখনো গবেষণাধীন। সর্বস্তরে প্রয়োগের উপযুক্ত নয়। তবে নেচার মেডিসিন জার্নালে সোমবার প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে চিকিৎসাসেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) ভবিষ্যৎ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়।
মাইক্রোস্কোপের স্লাইড, এক্স-রে, এমআরআই এবং চিকিৎসাসেবার অন্যান্য রোগনির্ণয় পরীক্ষার ফলাফল দেখে প্যাটার্ন ধরতে পারা এবং ছবির অর্থ নির্ণয় করার মতো কৌশলগুলো আগে শুধু মানুষ ব্যবহার করত। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে কম্পিউটারও সেসব কাজে দক্ষ হয়ে উঠছে।
গবেষণাপত্রটির এক লেখক এবং গুগলের প্রকল্প ব্যবস্থাপক ড্যানিয়েল সি বলেন, ‘আমাদের কাছে বিশ্বের বড় কম্পিউটারগুলোর কয়েকটি আছে। মজার কিছু নিয়ে কাজ করার জন্য সাধারণ বিজ্ঞানের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাচ্ছি আমরা।’
যুক্তরাষ্ট্রে গত বছর ফুসফুসের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১ লাখ ৬০ হাজার এবং বিশ্বব্যাপী ১৭ লাখ মানুষ মারা যায়। বেশি ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের বেলায় সিটিস্ক্যান করা হয়। এই গবেষকদের গবেষণায় ফুসফুসের ক্যানসার নির্ণয়ে সিটিস্ক্যানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হয়। এ ধরনের সিটিস্ক্যানের ফলে ক্যানসার তো বটেই, এমন কিছু দাগ খুঁজে পেতে পারে, যা থেকে হয়তো ভবিষ্যতে ক্যানসার হতে পারে।
এই প্রযুক্তির খারাপ দিকও আছে। যেমন টিউমার না-ও ধরতে পারে, আবার একধরনের দাগকে অন্য কোনো রোগ বলে চিহ্নিত করতে পারে। তবে যেমনটা বলা হয়েছে, এটি যত বেশি তথ্য ইনপুট দেওয়া হবে, তত বেশি শিখতে পারবে এবং তত বেশি নিখুঁত ফল দেবে। ড্যানিয়েল সি বলেছেন, ‘গবেষণার পুরো প্রক্রিয়া অনেকটা স্কুলের শিক্ষার্থীর মতো। প্রশিক্ষণের জন্য আমরা অনেক বড় ডেটা সেট নিয়ে কাজ করছি। অনুশীলন ও কুইজের মাধ্যমে নিজে নিজেই শিখতে পারে কোনটি ক্যানসার এবং কোনটি ভবিষ্যতে ক্যানসার হতে পারে।’