বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ পাঁচজন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। বুধবার (২২ মে) সকালে গুলশান বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ম্যাডাম খালেদা জিয়াসহ আমরা পাঁচ জন ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি।’
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (২১ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বগুড়া জেলা বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি সবাইকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করার নির্দেশ দেন।
বিএনপির চেয়ারপাসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ছাড়া মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন বগুড়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জি এম সিরাজ, পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন।’
এরআগে ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনেও খালেদা জিয়ার জন্য ৩টি আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করলে কোর্টে আবেদন করলে বিভক্ত আদেশ আসে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনে খালেদা জিয়া প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। নির্বাচন কমিশন তার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করলে আমরা ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করেছিলাম। ওই রিট পিটিশন হাইকোর্ট ডিভিশন নামঞ্জুর করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে আমরা সুপ্রিম কোর্টেও গিয়েছি। সে আবেদন এখনও পেন্ডিং আছে। বিষয়টা হচ্ছে, হাইকোর্টের বিভক্ত আদেশ আছে।’
উদাহরণ দিয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এরআগে হাইকোর্টে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, মহিউদ্দিন খান আলমগীরসহ অনেকেই কনভিক্টেড হওয়ার পরও নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। হাইকোর্ট ডিভিশন তাদের অ্যালাউ করেছেন। এমনকি লুৎফুজ্জামান বাবরও কনভিক্টেড হয়েছিলেন, তিনিও নির্বাচন করেছেন।’
অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ইস্যু যেহেতু একই, তাই আপিল বিভাগে চূড়ান্তভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত খালেদা জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আদালতের আদেশ লাগবে। যেটি আপিল বিভাগে পেন্ডিং আছে, সেটি তার পক্ষে নিষ্পত্তি হতে হবে। তাহলেই তিনি যেকোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। আমরাও মনে করি, যেহেতু তার সাজা চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়নি, সেহেতু তিনি যেকোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এবারও যদি তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়, তাহলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় বিষয়টির সমাধান খোঁজার চেষ্টা করবো।’