মোঃ ইমন হোসেন:
এ যেন সত্যিকারের সিনেমা বা নাটকের সুন্দর একটি দৃশ্য। যার শেষটা প্রশংসার যোগ্য। প্রশংসা প্রাপ্য তিন জন ব্যক্তি স্বাস্থ্য মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক স্বপন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, হরিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ।
বুধবার সকালে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ এক শ্বাসকষ্টের রোগী নিয়ে সাবেক সভাপতি মাসুদুর রহমান মাসুদ আসে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু হাসপাতালে ওই রোগীর তেমন কোনো চিকিৎসা নেই বলে সেখান থেকে রোগীকে দ্রুত মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলা হয়। কিন্তু মাসুদুর রহমান খোজ নিয়ে জানতে পারলেন গত ৩ বছর অর্থ্যাৎ ২০১৬ সাল থেকে এখানে কোনো পারমানেন্ট ড্রাইভার নেই। কিন্তু রোগীর কথা বিবেচনা করে মাসুদুর রহমান তখন সাদ্দাম হোসেন কে ফোন দিয়ে রোগীকে মানিকগঞ্জ নেওয়ার জন্য সেখান থেকে একটি এম্বুলেন্স আনার ব্যবস্থা করে। কিন্তু সে এম্বুলেন্সও মাঝ পথে থেমে যায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে। মাসুদুর রহমান রোগীর অবস্থা শোচনীয় দেখে উপায় না পেয়ে একটি অটো বাইক ভাড়া করে এবং হাসপাতাল থেকে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার নেয়। কিন্তু আলোচ্চ বিষয় হচ্ছে সিলিন্ডারের মাস্কটিও নেই যার জন্য রোগীর স্ত্রী নিজ হাতে সেটা স্বামীর নাকে ধরে রাখেন।
রোগীর পারিবারিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় যে বাসা থেকে মাত্র ১৫০ টাকা নিয়ে বের হয় এবং অসুস্থতার জন্য বাড়ির আয়ের উৎস গরুটিও বেচার ব্যবস্থা করে ফেলেন।
অটোতে রোগী উঠিয়ে মাসুদুর রহমান তার মোবাইলে কয়েকটি ছবি দিয়ে ক্যাপশনে “হরিরামপুরের এম্বুলেন্স” লিখে ফেসবুকে পোস্ট করলে মুহুর্তেই মধ্যেই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়, যার ফলে সেটি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর চোখে পড়ে। এঘটনার মাত্র ৩ ঘন্টার মধ্যেই খুশির খবর পায় হরিরামপুরবাসী। স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচী ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনকে জানানো হয় যে আগামীকালই হরিরামপুরে একজন ড্রাইভার নিয়োগ দেওয়া হবে। যা অনেকটাই সম্ভব হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের কল্যানে। হরিরামপুরবাসী এভাবেই সরকারের ডিজিটাল উন্নয়নের চাক্ষুষ প্রামণ পেল।