স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঝিটকা হাটে বাদামের দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জানাগেছে, গতবছরের চেয়ে এইবছর বাদামের দাম বেশি। গতবছর বাদামের দাম মণ প্রতি ছিলো সর্বনিম্ন ১৮০০টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৪০০ টাকা, আর এবছর সর্বনিম্ন ২৪০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত ও দাম যাচ্ছে। তাই হরিরামপুরের কৃষকদের মুখে এই হাসি।
সরেজমিনে হরিরামপুরের সবচেয়ে বড় ঝিটকা হাটে গিয়ে দেখা যায় ঝিটকা আনন্দ মোহন উচ্চবিদ্যালয়ের পেছনের রাস্তার দুইপাড়ে বস্তায় বস্তায় বাদাম সাজিয়ে বসে আছে কৃষকেরা। তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, বাদামের দাম গতবছরের চেয়ে বেশি হওয়ায় খুশি তারা। এবং এই ফসলে খরচের তিন ভাগের দুই ভাগই লাভ হওয়ায় বাদাম চাষে ঝুকছেন অনেকেই।
উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের বালিয়াকান্দি গ্রামের মোঃ মাসুদ মিয়া জানান, এবছর তিনি ৫বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ২৫মন বাদাম পেয়েছে, এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৩০হাজার টাকা, এবং সে আশা করছে এইবছর সে বাদাম বিক্রি করে সর্বনিম্ন ২০হাজার টাকা লাভবান হবে।
তিনি আরো জানান, তিনি যে জমিতে বাদাম চাষ করেছেন সে জমিতে তিনি ভূট্টা চাষ করেছিলেন এবং তখন ওই ক্ষেতে সার দিয়েছিলেন যার কারণে আশেপাশের অন্যান্য ক্ষেতের চেয়ে তার ক্ষেতে বাদামের ফলন অনেক বেশি হয়েছে। তাই তিনি প্রতিবছর বাদাম ক্ষেতে সার দিবেন বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের সেলিমপুর চরের মতিন মোল্লা জানান, ৮বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে সে ২৫মণ বাদাম পেয়েছেন। গতবারের চেয়ে এই বার বাদামের দাম বেশি হওয়ায় তিনিও অনেকটা খুশি।
এছাড়াও এই হাটে ফরিদপুর জেলার নরসিনাল ইউনিয়নের মমিনখার হাট থেকেও অনেকেই বাদাম বিক্রি করতে এসেছেন। তারাও এই প্রতিবেদককে জানিয়েছেন বাদামের দাম গতবারের চেয়ে বেশি হওয়ায় এবার অনেক খুশি তারা। তবে গত হাটে বাদামের দাম আরো একটু বেশি ছিলো বলেও জানান তারা।
এবিষয়ে হরিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জহিরুল হক জানান, এবছর বন্যার পানি দেড়িতে হওয়ায় কৃষকেরা শতভাগ বাদাম উঠাতে পেরেছেন। বাদাম চাষে লাভ বেশি হওয়ায় এবছর ১৯২ হেক্টর জমিতে বাদাম আবাদ হয়েছেন। যা গতবছর ছিলো ১৭৮ হেক্টর জমিতে। এছাড়া এ অঞ্চলে ঢাকা ডিজি ২ জাতের বাদাম চাষ হয়। তাই এবছর আরো দুইটি বিনা বাদাম ৪ এবং বিনা বাদাম ৬ এর প্রদর্শনী করেছেন বলেও জানান তিনি।