স্টাফ রিপোর্টার:
মানিকগঞ্জের দৌলতপুরে ৬ষ্ট শ্রেনীর এক ছাত্রীকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে শরিফুল ইসলাম সেন্টু(৩৬) নামে এক শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। সে দৌলতপুর প্রমোদা সুন্দরী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও স্থানীয় মৃত মাঈনুদ্দিন খোশ নবিশের ছেলে। ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার দুপুরে ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যৌননিপিড়নের শিক্ষার ওই শিক্ষার্থী ৬ষ্ট শ্রেনীতে পড়ে।তার বাবা একজন সিএনজি চালক। বাদীর মা প্রায়ই শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টুর বাড়িতে বিভিন্ন কাজকর্মের সহযোগিতা করেন। গত জানুয়ারি মাসে প্রথমে শিক্ষক সেন্টু তার মেয়েকে যৌন নিপিড়ন করে। এ রপর একাধিকবার শিক্ষক সেন্টু নিজ স্কুলের ওই শিক্ষার্থীকে নানাভাবে যৌন নিপিড়ন ও ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। ওই ছাত্রী বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালেও লোক-লজ্জ্বার ভয়ে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়নি তারা।
মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল প্রাঙ্গনে সহপাঠিদের সাথে ফুটবল খেলার সময় শ্বাসকষ্টে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ছাত্রী। তাকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তীতে মুন্নু মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথেও সেন্টু ওই ছাত্রীকে যৌন নিপিড়ন চালায় বলে ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে।
মুন্নু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রী লম্পট শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সেন্টুর দ্বারা যৌন হয়রানি হওয়ার ঘটনা কয়েকজন নার্স ও চিকিৎসকদের কাছে জানান।পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে ঘটনা প্রকাশ পায়।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি)সুনীল কর্মকার জানান,হাসপাতালে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার কথা হয়েছে। সে শিক্ষকের যৌন নিপিড়নের বর্নণা দেয়ার সময় অনেক কাঁদছিলো। এঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে রাতেই শিক্ষক সেন্টুকে গ্রেফতার করা হয়। ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
ওসি আরো জানান,শিক্ষক সেন্টু অন্য কোন শিক্ষার্থীর সাথে একই ঘটনা ঘটিয়েছে কিনা সে বিষয়টিও তদন্ত করা হচ্ছে।