শুভংকর পোদ্দার, স্টাফ রিপোর্টার :
“মাছ চাষে গড়বো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ “এই স্লোগানকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার দুপুরে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইলিয়াস মেহেদীর সভাপতিত্বে উপজেলা হল রুমে আলোচনা সভা এবং পুরষ্কার বিতরনীর মধ্য দিয়ে জাতীয় মৎস্য ২০১৯ এর আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন হরিরামপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিম খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম সাজেদা চৌধুরী,
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুর রহমান, উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জহিরুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম শোভম, হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলজার হোসেন বাচ্চু, হরিরামপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মজিব উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। এছাড়া আলোচনা সভায় মৎস্যজীবী, মৎস্য খামারী সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা সহ সুধীবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা জেলেদের উদ্দেশ্যে বলেন, ইলিশ মাছের ডিম পাড়ার মৌসুমে ইলিশ মাছ ধরলে তারা শুধু নিজেদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতিই করবে না বরং এই দেশের ক্ষতিই করবে। কেননা অন্যান্য দেশে তাদের আয়ের প্রধান উৎস স্বর্নের ক্ষনি, রুপার ক্ষনি, তেলের ক্ষনি। আর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কোন উপাদান থাকলে সেটা শুধু মাছ, তাই আমরা যদি তাদের প্রজনন মৌসুমে তাদের ডিম ছাড়তে না দিয়ে তাদের ধরে হত্যা করি। তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মাছের জন্য হাহাকার করতে হবে। তাই আমরা অন্যান্য মৌসুমে মাছ ধরলেও মাছের ডিম পাড়ার মৌসুমে যেনো কোন মাছ না ধরি। এবং নদীতে বাধ দিয়ে মাছ না ধরতেও নিষেধ করা হয়। এছাড়া কাঞ্চনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী ইউনুস উদ্দিন নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্দেশ্যে বলেন এই বর্ষা মৌসুমে কিছু অসাধু লোক নতুন একটি আবিষ্কার যন্ত্র চায়না জাল(কল) নামক একটি যন্ত্র কিনে তা দিয়ে দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মা মাছ ধরে নিধন করছে। এর প্রতি উত্তরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এই যন্ত্র টাকে এড়িয়ে চলতে এবং এটা দিয়ে দেশীয় মা মাছ ধরলে তাকে আইনের আওতায় আনার কথাও বলেন। এবং এটার বিরুদ্ধে খুব দ্রুতই অভিযান চালানো হবে বলেও জানান তিনি।