এস.এম আকরাম হোসেন:
সাবেক মন্ত্রী ও ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কর্ণেল (অব:)এ মালেকের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মানিকগঞ্জে স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে সাংস্কৃতিক বিপ্লবী সংঘ (সাবিস) মিলনায়তনে এই স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মানিকগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ ও জেলা যুবলীগ।
পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হক খান খালিদের পরিচালনায় এই স্মরণসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সানলাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুবনা হামিদ কিন্তু ব্যাক্তিগত জরুরী কাজের জন্য আসতে পারেনি। অন্যতম বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও মানিকগঞ্জ ডায়বেটিকস সমিতির সাধারন সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল।পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোনায়েম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আফসার উদ্দিন সরকার, পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান শামীম হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবুল বাশার, সদর মহিলা আওয়ামীরীগের সভাপতি সালমা আক্তার, শেখ রাসেল স্মৃতি পরিষদ জেলা শাখার প্রধান পৃষ্ঠপোষক লুৎফর রহমান যোবায়ের, পৌর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম, যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম মাহিদ, দপ্তর সম্পাদক জুলফিকার রহমান, জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তামজীম উল্লাহ প্রধান লিল্টু, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন, সদর থানা যুবলীগের সভাপতি খলিলুর রহমান, পৌর যুবলীগ নেতা মশিউর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাপস সাহাস প্রমুখ। এসময় আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনষ্ঠানের অন্যতম বিশেষ অতিথি সুলতানুল আজম খান আপেল বলেন, কর্ণেল মালেক আজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি ছিলেন মানিকগঞ্জের আশীর্বাদ। মানিকগঞ্জের উন্নয়নে তিনি রেখে গেছে অসামান্য অবদান। তিনি ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র থাকাকালে সেখানে মানিকগঞ্জের বহু মানুষকে চাকুরী দিয়েছেন। মন্ত্রী থাকাকালে তিনি মানিকগঞ্জ সহ সারাদেশের সার্বিক উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি আজ নেই। রেখে গেছেন দুই যোগ্য সন্তান। ছেলে জাহিদ মালেক স্বপন মানিকগঞ্জ-৩ আসন থেকে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব সফলভাবে পালন করছেন। তিনি তার পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে নিরলসভাবে কাজ করছেন। আর একমাত্র মেয়ে রুবিনা হামিদ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কর্মতে আছেন। তিনি সানলাইফ ইনস্যুরেন্সের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন।
পরে প্রয়াত কর্ণেল এ মালেকের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া পরিচালনা করেন গোলাম রব্বানী। আওয়ামীলীগ এবং এর সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা এই স্মরণসভা এবং দোয়া মাহফিলে অংশ নেন এবং মরহুমের জন্য দোয়া করেন।