শুভংকর পোদ্দার:

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়ন  আওয়ামীলীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে দোয়া মাহফিল, আলোচনা সভা ও ৫ শতাধিক দুস্থ এবং ছোট বাচ্চাদের মাঝে তোবারক বিতরণ করা হয়েছে। ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ইউনিয়নের বাল্লা ব্রিজ সংলগ্ন ইছামতী নদীর পাড়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জিগীর আলী।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন বিচারপতি নুরুল ইসলাম ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক ফজলু রহমান, বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রানা হামিদ ছিতাপ, বাল্লা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন, যুবলীগ নেতা ডাঃ ইউনুস আলী, আওয়ামী নেতা মোঃ আব্দুল আজিজ।

এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বাল্লা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিক মোল্লা, সদস্য মোঃ শের আলী, আব্দুর রাজ্জাক, বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সদস্য মোঃ আনোয়ার হোসেন। উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্ভোধক হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন তরুণ কথা সাহিত্যিক জ ই আকাশ এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক শাহাদাত হোসেন আজাদ।

উক্ত অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্যে বাল্লা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক জিগীর আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে অামরা তারই অাদর্শে অনুপ্রাণিত। বাল্লা ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ ও নেতা-কর্মী এই মহান নেতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। তিনি বাঙালি জাতির অহংকার।

তিনি আরো বলেন, প্রতিটি জাতির মুক্তির জন্য শ্রষ্ঠাপ্রদত্ত একজন মুক্তির কান্ডারী যুগে যুগে প্রেরিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুও তেমনিভাবে বাঙালি জাতির মুক্তির এক মহান দূত। অথচ আমরা এমনই একটি দূর্ভাগা জাতি যারা হারিয়েছি বাঙালি জাতির আশির্বাদ সেই মহান নেতাকে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে যেসব খুনিরা বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যা করেছে আমরা বাল্লা ইউনিয়ন বাসী আজকের এই শোক দিবসে দেশে ও বিদেশে অবস্থানকারী সকল খুনিদের অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক ফাঁসির দাবি জানাই। এছাড়া ঘাতক হায়নাদের ছোবল থেকে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেলও। অামাদের পরিকল্পনায় রয়েছে বাল্লা’তে শহীদ রাসেলের নামে শেখ রাসেল গ্রন্থাগার নির্মাণের। এ ব্যাপারে সর্বমহলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।